হবিগঞ্জের কয়েকটি উপজেলায় কাগজপত্র না থাকায় ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেন।
শনিবার (২৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মাধবপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে মাধবপুরে প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় লাইসেন্স ও নবায়নের কাগজপত্র না থাকায় অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক, হক ডায়াগনস্টিক, প্রাইম ডায়াগনস্টিক ও তিতাস শিশু জেনারেল হাসপাতাল (২) সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন ও মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন।
এদিকে চুনারুঘাট উপজেলায় সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল হকের নেতৃত্বে অভিযানকালে ৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। এগুলো হলো চুনারুঘাট শহরের দি গ্রিন ডায়াগনস্টিক, ঢাকা ডায়াগনস্টিক, সূর্যের আলো ডায়াগনস্টিক, এম কে ক্লিনিক ও শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ এলাকার পিপলস ডায়াগনস্টিক।
অভিযানের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও ওসি আলী আশরাফ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জল জানান, রোববারের মধ্যে জেলার সকল অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করা হবে। ইতোমধ্যে জেলায় ৩০টির মতো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিহ্নিত করা হয়েছে।