কুলাউড়ায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলার বিষয়টি বহুল আলোচিত। এ খাতে দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসছে। সারা দেশে অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বারবার অভিযান চালানোর পরও যেভাবে অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তাতে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। জানা গেছে, নিবন্ধনহীন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সারা দেশে শতাধিক হাসপাতাল, ক্লিনিক ও অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের মতো মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে কুলাউড়া উপজেলায় ও এক অভিযান চালানো হয়েছে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।
এ সময় পৌর শহরের ইমপালস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইউনি এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্রাহ্মণবাজারের হিউম্যান হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা একইসাথে ডিগ্রি ছাড়া অবৈধভাবে রক্ত সঞ্চালনের অপরাধে ব্রাহ্মণবাজারের হিউম্যান হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কুলাউড়া শহর ও ইউনিয়ন এলাকায় বেশ কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার, আরএমও ডা. জাকির হোসেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জসিম উদ্দিন, কুলাউড়া থানার এসআই হারুনুর রশীদসহ থানার পুলিশ ফোর্স।
অভিযান শেষে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।