অনিবন্ধিতভাবে গ্রিসে বসবাস করে আসা ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে সে দেশের সরকার; এরপর প্রতিবছর অন্তত চার হাজার কর্মীও নেবে ইউরোপের দেশটি।
এথেন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ শুক্রবার এ খবর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গ্রিসের পার্লামেন্ট এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিকালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাদের অ্যাম্বাসেডর সাহেব জানালেন, গ্রিসের সঙ্গে আলাপ করে এসেছিলাম, গ্রিস রাজি হয়েছে; একটা এগ্রিমেন্ট সই হয়েছে যে, তারা আমাদের ১৫ থেকে ১৮ হাজার ইলিগ্যাল আছেন, তাদেরকে তারা রেগুলারাইজ করবে।
“এবং প্রতিবছর ৪ থেকে ৫ হাজার লোক সেখানে নেবে। এটা প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ, তারা এমন কিছুতে রাজি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।”
গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রিসের অভিবাসনমন্ত্রী নতিস মিতারাচির ঢাকা সফরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৪ হাজার কর্মী নেওয়া ও অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের বৈধতা দেবার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার গ্রিসের পার্লামেন্ট সেই সমঝোতা অনুমোদন করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, “এখন পরবর্তী প্রসিডিউর নিয়ে কাজ হবে।”
গ্রিসে বর্তমানে ৩০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, এর মধ্যে ১২ হাজার বৈধ ভাবে বসবাস করছেন। বাকি ১৮ হাজার ‘আনডকুমেন্টেড’। তাদের মধ্যে ১৫ হাজার সমঝোতার অনুযায়ী বৈধতা পাবেন।
অবৈধ ভাবে বসবাসকারীরা কোন প্রক্রিয়ায় বৈধ হবেন, তাদের কীভাবে আবেদন করতে হবে এবং কারা এর আওতায় আসবেন, সেসব বিষয় এখন চূড়ান্ত করতে হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ।
“এই প্রক্রিয়ায় আমাদের মন্ত্রিসভার অনুমোদনও লাগবে। সেটা হয়ত আগামী সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যাবে।”
ফেব্রুয়ারিতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রতিবছর ৪ হাজার নতুন কর্মীকে সেদেশে কাজ করার সুযোগ দেবে। তাদেরকে ৫ বছর মেয়াদি অস্থায়ী ’ওয়ার্ক পারমিট’ দেওয়া হবে।
এ চুক্তির আওতায় কৃষি খাতে মৌসুমি শ্রমিক নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছিল, পরবর্তীতে উভয় দেশ আলোচনা সাপেক্ষে চাহিদার ভিত্তিতে খাতের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। তাদের ৫ বছর মেয়াদ শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসতে হবে।