মৌলভীবাজার বড়লেখায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ফখরুল ইসলামকে (৫৫) শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা হলো না খুনিদের। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে নিহতের ছেলেসহ ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নিহত অটোরিকশা চালক ফখরুল ইসলামের ছেলে উজ্জল আহমদ, সোহাগ মিয়ার ছেলে সেলিম উদ্দিন, মুত সুনু মিয়ার ছেলে মস্তাব উদ্দিন ও বকুল মিয়ার ছেলে কবির আহমদ।
নিহতের বোন সুফিয়া বেগমের থানায় রুজু করা হত্যা মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইটাউরী গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ফখরুল ইসলামের স্ত্রী দিলারা বেগম পরপুরুষ আসক্ত চরিত্রহীন প্রকৃতির মহিলা। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সাথে ফখরুল ইসলামের দাম্পত্য কলহ চলছিল। ছেলে উজ্জল আহমদ মায়ের পক্ষাবলম্বন করতো। মঙ্গলবার ভোরবেলা গ্রামের সুনু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির লিচু গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ফখরুল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়। নিহতের স্ত্রী, পরকিয়া প্রেমিকরা ও ছেলে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়। সকালে পুলিশ নিহতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় নিহতের বোন সুফিয়া বেগম বুধবার রাতে নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগম, ছেলে উজ্জল আহমদ, পরকিয়া প্রেমিক সেলিম উদ্দিন, মস্তাব উদ্দিন এবং রহমত আলীর নাম উল্লেখ ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের বোন সুফিয়া বেগম অভিযোগ করেন তার ভাইয়ের স্ত্রী দিলারা বেগম পরপুরুষে আসক্ত। তিনি তার ছেলে ও পরকিয়া প্রেমিকদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লেচু গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, হত্যা ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বুধবার রাতে পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যার মোটিভ উদ্ঘাটনে আসামীদের রিমান্ডে নেয়া হবে। নিহতের স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।