মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মায়ের অসুস্থতার কথা বলে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে কৌশলে কিশোরীকে (১৬) অপহরণ করে সিলেটের একটি হোটেলে ৫দিন আটকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে।
এমন অভিযোগ বলাই মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ৩ সন্তানের জনক। বলাই মিয়া উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় বলাই মিয়াকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান শনিবার বিকেলে বলেন, ‘ভিকটিমের চিকিৎসা জনিত কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত বলাই মিয়া ও ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা একসাথে কাজ করেন। পূর্ব-পরিচিত হওয়ায় বলাই মিয়া প্রায়ই কিশোরীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। গত ১০ অক্টোবর ধর্ষণের শিকার কিশোরী তার মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় হঠাৎ ৩ সন্তানের জনক বলাই মিয়া একটি অটোরিকশা নিয়ে কিশোরীর মামার বাড়িতে যান। বলাই মিয়া সেখানে গিয়ে তার মায়ের (কিশোরীর) অসুস্থতার কথা বলে এবং দ্রুত তার সাথে গাড়িতে উঠতে বলেন। এরপর সে কিশোরীকে গাড়িতে তুলে কৌশলে অপহরণ করে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেলে ৫ দিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ১৬ অক্টোবর রাতে বলাই মিয়া ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে বড়লেখা পৌর শহরের বাসষ্ট্যান্ডের পাশে ফেলে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।