মৌলভীবাজারের টিলাগাঁওয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিট পুলিশিংয়ের উঠোন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে উপজেলার টিলাগাওয়ে পুলিশের নতুন ফাঁড়ি করার কথা জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুছ ছালেক। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে টিলাগাঁওয়ের শালন এলাকার একটি মন্দির প্রাঙ্গণে এ বৈঠকে প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দীপংকর ঘোষ।
টিলাগাও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে ও থানার উপ পরিদর্শক অপু দাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুছ ছালেক। এছাড়া এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর আহমদ, জুনাব আলী, ফয়জুর রহমান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সংগঠক আব্দুস শহীদ, ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন দত্ত প্রমুখ।
বৈঠকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাসিন্দারা জানান, ব্রাহ্মণবাজার-শমসেরনগর আঞ্চলিক সড়কের টিলাগাঁওয়ের বাঘেরটিকি এলাকায় শীতকালে ডাকাতির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। রাতে এ সড়কে চলাচলকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগেন। এছাড়া ইউনিয়েনর বিভিন্ন এলাকায় জুয়া, মাদক সেবনকারীদের উৎপাত বৃদ্ধি পায়। এসব মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য মাদক সেবনকারীরা চুরিসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে। তাছাড়া এসব মাদক সেবনকারীরা নানা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। এসব অপরাধ নির্মূলে তারা সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প বসানোর দাবি ও কমিউনিটি পুলিশিংকে আবারো সক্রিয় করার দাবি জানানা।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক তাঁর বক্তব্যে জানান, এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি প্রয়োজন। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিতে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের জন্য পরিষদের সভায় সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে এলাকার প্রবাসীরাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।
থানার ওসি আব্দুছ ছালেক তাঁর বক্তব্যে জানান, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমরা থানা পুলিশ টিলাগাওয়ে একটি পুলিশ ফাড়ি স্থাপনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন স্থান এবং ঘর পেলে ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সমন্বয়ে কমিউনিটি পুলিশংকে আরো কার্যকর করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। যারা মাদক বিক্রি ও সেবনে জড়িত তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ বলেন, যেকোন এলাকার আইনশৃঙ্লা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সমন্বয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পাহারার ব্যবস্থা কার্যকর করা হলে সেখানে অপরাধ প্রবণতা কম থাকে। তাই এলাকার স্বার্থে সবাইকে স্ব উদ্যোগী হয়ে পুলিশের পাশাপাশি পাহারা দিতে হবে। এলাকায় মাদক, জুয়া, চুরি ও ডাকাতিসহ সকল অপরাধ রুখতে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। পুলিশ ও জনতা একত্রে কাজ করলে কোন এলাকায় অপরাধীরা যেকোন অপকর্ম করতে সাহস পাবেনা। দ্রুত টিলাগাঁওয়ে ফাঁড়ি স্থাপনে আমরা চেষ্টা করছি।