দুবাইয়ে রেমিট্যান্স এওয়ার্ড পেলেন লুৎফুর রহমান
দেশে রেমিটেন্স আয়ে দ্বিতীয় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। জানুয়ারি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্স এসেছে সাড়ে তিনশ মিলিয়ন ডলার।
এই ধারা অব্যাহত রাখতে রেমিটেন্স এওয়ার্ড ২০২২ প্রদান করেছে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাই।
সাধারণ কর্মী, ব্যবসায়ি (নারী ও পুরুষ) ও পেশাজীবি ক্যাটাগরিতে সেরা রেমিটেন্স প্রেরণকারি ৫২জনকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে সাংবাদিক হিসেবে রেমিটেন্স সম্মাননা পেয়েছেন একাত্তর টিভির আমিরাত প্রতিনিধি ও বায়ান্ন টিভির সম্পাদক লুৎফুর রহমান। তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা।
এই ক্যাটাগরিতে আরো ২ জন সাংবাদিক এ সম্মাননা অর্জন করেন। ডাক্তার, প্রকৌশলী, সাংবাদিক সহ যারা নানা পেশায় বাংলাদেশকে উপস্থাপনের পাশাপাশি বৈধপথে সর্বোচ্চ টাকা পাঠিয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছেন তাদেরকে পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে সম্মানিত করা হয়।
একই সঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত ৩৯ জন সিআইপিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাই প্রাঙ্গণে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষে নানা পেশার সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণ কারী ৫২জনকে সম্মাননা তুলে দেন প্রবাসিকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
কনসুলেটের প্রথম সচিব (প্রবাসিকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান) ফকির মনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কনসুলেটের মিনিস্টার (শ্রম) ফাতেমা জাহান।
প্রবাসিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় এ অনুষ্ঠান। রেমিটেন্সে প্রণোদনা না দিয়ে হলেও প্রবাসিদের স্বাস্থ্যবীমা চালুর দাবি ছিল প্রবাসিদের। এ বীমা একজন প্রবাসি কর্মীকে জীবনের শেষদিনে দেশ কিছুটা দিয়েছে এমন অনুভব হবে বলে দাবি করছেন সকল প্রবাসিরা।
বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাইয়ের দুয়ারে কনসুলেট কর্মসূচির আলোকে এ রেমিটেন্স এওয়ার্ড দেশের অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে এমন প্রত্যাশা করছেন আমিরাতে বসবাসরত সাধারণ প্রবাসিরা।