মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাই-সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীর হাতে বাই-সাইকেল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেইলী স্টারের সাংবাদিক ও চা-শ্রমিকদের দাবি আদায়ের সংগঠক মিন্টু দেশোয়ারা, কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ শাকিল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মহি উদ্দিন রিপন প্রমুখ।
বাই সাইকেল হাতে পেয়ে দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী আরতি উরাং, জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সনিকা গোমিজ, সেন্ট মার্সেলিন স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী স্বর্ণালী এক্কা, মনোহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী খ্রিস্টিয়াল বলেন, এতোদিন আমরা পায়ে হেঁটে অনেক কষ্ট করে স্কুলে যেতাম। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাই সাইকেল উপহার পেয়ে আমরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতে পারবো। এর চেয়ে আনন্দের বিষয় আর কি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপজেলা প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শিক্ষার্থী স্বর্ণালী এক্কার মাতা মাগরেট ইন্ধুয়ার বলেন, আমার মেয়ে অনেক কষ্ট করে স্কুলে যেত। এখন থেকে সাইকেল চালিয়ে সে স্কুলে যাবে। এতে করে পড়ালেখায় তার মনোযোগ বাড়বে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাইকেল উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থী খ্রিস্টিয়ালের বাবা পাউলুস তপ্ন বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে স্কুলে যেত অনেক কষ্ট করে। এখন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাইকেল পাওয়াতে আমার মেয়ের কষ্ট লাঘব হবে। সকল অভিভাবকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় কুলাউড়ায় ৫০ জন ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের হাতে বাই সাইকেল তুলে দেয়া হয়েছে। সরকার এ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা যেমন আবাসস্থল, শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষাবৃত্তি, বাই সাইকেল বিতরণ করে আসছে। বাই সাইকেল পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা এখন স্কুলে যেতে অনেক দূরের পথ কম সময়ে যাতায়াত করতে পারবে। আগামীতেও বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।