মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবির চুরি হওয়া গাড়িসহ ৩টি চোরাই প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গাড়ি চুরির সাথে জড়িত আন্তঃ জেলা ও আন্তঃবিভাগীয় চোর চক্রের ২ সদস্যসহ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে কুলাউড়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান (পিপিএম) বার।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১০ জুলাই রাতে কুলাউড়া পৌরসভার মধ্য মাগুরা এলাকা থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি, ঢাকাস্থ জালালাবাদ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুলাউড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. জসিম উদ্দিন আহমদের শশুর মরহুম আব্দুল হাকিমের বাসার সামনের রাস্তা থেকে তাঁর একটি সিলভার রংয়ের ঘবি গড়ফবষ ২০০৬ এ-ঈড়ৎড়ষষধ প্রাইভেটকার চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় এডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমদ বাদী হয়ে গত ১৭ জুলাই কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মৌলভীবাজার জেলা ও কুলাউড়া থানা পুলিশ চোরাই গাড়ি উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেফতারে পুরো সিলেট জোনে অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সুদর্শন কুমার রায়, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ঘোষ এবং কুলাউড়া থানার ওসি মোঃ আব্দুছ ছালেকসহ কুলাউড়া থানার অফিসারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করে জেলা পুলিশ।
কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ, মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ আনোয়ার মিয়া, এএসআই মোঃ তাজুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার ও চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার অভিযানে নামে। ১ আগস্ট ভোর রাতে দুধর্ষ গাড়ি চোর চক্রের অন্যতম সদস্য মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামের আলীম মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার শহরের বেরিরচর এলাকা থেকে মৃত ফরকিত মিয়ার ছেলে মুহিবুর রহমান সিতুকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাদের পর সিতুর শ্বশুরবাড়ি সদরের আমতৈল ইউপির আদুপাশা গ্রাম থেকে ১০ জুলাই কুলাউড়ার মাগুরা থেকে চুরি যাওয়া প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া গাড়ি চুরির মামলা দায়েরের পর থেকে গাড়ী উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে গত ১৭ জুলাই ও ২৮ জুলাই আরোও ২টি চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। এসব গাড়ি চুরির সাথে জড়িত আন্তঃজেলার গাড়ী চোর চক্রের সদস্য তোফায়েল মিয়া (২৬) সিলেট থেকে, আব্দুল আলীম (৩০) ও মহিউদ্দিনকে (৩০) হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থেকে, জসিম মিয়া (৩৭) কে মৌলভীবাজার সদর থেকে, আবুল হোসেন (৩১) কমলগঞ্জের শমশেরনগর থেকে, কয়েছ মিয়া (২৭) কে রাজনগর থেকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঊর্ধবতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মহসীন,অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সুপার সুর্দশন কুমার রায়, কুলাউড়া থানার ওসি মোঃ আব্দুছ ছালেক, গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, ডিআইও (১) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।