ফের প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. আবু জাফর রাজু। শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও ক্রীড়া সংগঠক আবু জাফর রাজু ২০১৯ সাল থেকে এ পদে অত্যন্ত সততা, দক্ষ্যতা ও সুনামের সঙ্গে কর্মরত আছেন। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবু জাফর রাজুকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর (পারিতোষিক ও বিশেষ অধিকার) আইন, ১৯৭৫ এর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।
এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আবু জাফর রাজুর বাবা আব্দুল জব্বারকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার ১৯৬২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরী, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও শোভাযাত্রা করার কারণে গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৮ এর আগরতলা যড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচনসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সহপরিবারে নিমর্মভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মেজর নুর তাকে রাতভর কারাগারে অমানুষিক নির্যাতন করে এবং ভোরে ব্রাশফায়ার করতে চেয়েছিল। পরে মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে আবারো তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।
মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ পদে থাকাকালীন অবস্থায় কুলাউড়া সংসদীয় আসনের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। তিনি গত চার-পাঁচ বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। এ ছাড়া আরও প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব প্রেরণ করেছেন।
তিনি বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবণ নির্মাণ, সেতু-ব্রীজ-কালভার্ট, হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও ভবন নির্মাণ, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মন্দির, শ্বশান, গির্জা উন্নয়ন, রাস্তা পাকাকরণ, খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ ও খেলাধুলার মাঠ উন্নয়ন কুলাউড়া উপজেলায় স্ট্রীট লাইট স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাম, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্মাণ, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, উপজেলা যুব প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, টেক্সটাইল ইনন্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণ, নিউরোসাইন্ মহিলা ও শিশু দের জন্য মা শিশু হাসপাতাল এছাড়াও অসহায় গরীব, দুস্থঃ ও প্রতিবন্ধী এবং কিডনী, লীভার, ক্যান্সার রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদান ও করোনা মহামারীতে খাদ্য সহায়তা ও শীত বস্ত্র বিতরণ সহ নানা সেবামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন।