মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলমের প্রার্থী ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী রাজকুমার কালোয়ার রাজু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী নেহার বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান, থানার ওসি মো. আলী মাহমুদ, পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু প্রমুখ।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে মাও. ফজলুল হক খান সাহেদ দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫২ ভোট।
এ ছাড়া আরও দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৯৮ ভোট ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল হাসান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৪ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাজকুমার কালোয়ার রাজু চশমা প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলাম সবুজ টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৪ ভোট।
এ ছাড়া অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আফজাল হোসেন সাজু বই প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৯০ ভোট, মো. সাইফুল ইসলাম কুতুব তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭৭ ভোট ও পূরণ উরাং টিয়া পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬১ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নেহার বেগম ফুটবল প্রতীকে ৭১ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৬১৬ ভোট।
এদিকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উপজেলার ১০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও চা বাগান অধ্যুষিত কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।