ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গোগালিছড়া নদীর বাঁধ ও খালের পাড় ভেঙে ২০ টি গ্রামসহ অনেক এলাকায় ফসলাদির জমি প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে উপজেলার সদর ও জয়চন্ডী ইউনিয়নের গাজীপুর, ঘাগটিয়া, মিরবক্সপুর কুঠাগাঁও কামারকান্দিসহ উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজার ২ কুলাউড়া আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
এসময় তিনি বলেন, ভারীবর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে কুলাউড়ায় কয়েকটি ইউনিয়নের অনেক রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা আজকে পরিদর্শন করেছি এবং খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাগুলি মেরামত করে জনগণের চলাচলের চেষ্টা করছি। ঢাকায় থাকা অবস্থায় যখনই খবর পেয়েছি যে আমার কিছু এলাকায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তাৎক্ষণিক আমার এলাকায় আসি। এবং উপজেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি চিহ্নিত করে জনগণের চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য আমরা কাজ করছি আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাও ফজলুল হক খান সাহেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মহিউদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.শিমুল আলী,
জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহবুব, সাবেক চেয়ারম্যান এম আতিকুর রহমান আতিক, ইউপি সদস্য ফজলুল আউয়াল, রাজু আহমদ, সেবি বেগম প্রমুখ।
জানাযায়, ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ২৬ মে (রোববার) রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। যারফলে পাহাড়ি ঢলে ছড়া, খাল ও নদী গুলোতে তীব্র স্রোতে পানি নামতে থাকে। উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের গাজিপুর এলাকায় গোগালী ছড়া নদীর উত্তর পাড় ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকে। যারফলে ওই ইউনিয়নের গাজিপুর, ঘাগটিয়া, পুরন্দরপুর, মিরবক্সপুর, কামারকান্দি, লস্করপুর, গিয়াসনগর এলাকা প্লাবিত হয়।
এ ছাড়াও উপজেলার সদর, রাউৎগাঁও, টিলাগাও, কাদিপুর ও হাজীপুর ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কবিরাজী, পালগ্রাম, হাসিমপুর, মুকুন্দপুর, ভবানিপুর, ভাটুত্বগ্রাম, মৈশাজুড়ীসহ আরও ৮-১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে আউশ ধানের জমি, বীজতলা ও রাস্তাঘাট। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুর ও ফিসারির মাছ। সবমিলিয়ে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এই অঞ্চলের লোকজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মহিউদ্দিন জানান, উপজেলার সদর ও জয়চন্ডী ইউনিয়নের দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। তবে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ও স্থাপনার তালিকা পেলে সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও ভাঙা স্থানগুলো মেরামতের জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।