কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা জানতে চেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ জন্য ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুশফিকুর রহমানকে তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন নাহিদ।
রোববার (১১ আগস্ট) প্রথম কার্যদিবসে সকালে সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। পরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে উঠে আসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি। এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আন্দোলনের সময় মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
বৈঠকে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়, তা বের করতে হবে। মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কোন কোন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে ইন্টারনেট বন্ধে সহযোগিতা করেছেন, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে। ইন্টারনেট বন্ধের কারণে অনেক তথ্যই জানা সম্ভব হয়নি। কত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, তা জানা যায়নি।’
এদিন ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) এ কে এম আমিরুল ইসলামকে ওই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। পরে কমিটির সদস্যরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিটিআরসি ভবনে গিয়ে সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।