মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে সৈয়ব আলী নামের এক অসহায় বৃদ্ধের বসতবাড়িতে হামলা করে একই পরিবারের মা ও মেয়েকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সৈয়ব আলীর স্ত্রী মিনারা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৫জনের নামোল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের পূর্ব বড়দল গ্রামের বাসিন্দা সৈয়ব আলী একজন অসহায় মানুষ। তিনি ওই গ্রামে জমি ক্রয় করে ঘর বানিয়ে ৮-১০ বছর থেকে বসবাস করছেন। ওই বসতবাড়ির উত্তর পাশে সরকারি রাস্তায় বেড়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৈয়ব আলীর সাথে বিরোধ চলে আসছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের। ওই বিরোধের জেরে ১১ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৩টায় এলাকার বাসিন্দা আপ্তাব মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫), আকুল মিয়ার ছেলে সাব্বির মিয়া (২২), রিয়াজ মিয়ার ছেলে রাসেদ মিয়া (২৮), রজব আলীর ছেলে রাজিব আহমদ (১৯), কুতুব মিয়ার ছেলে আকুল মিয়া (৪০) সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন লোক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সৈয়ব আলীর বসতবাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় সৈয়ব আলীর স্ত্রী মিনারা বেগম ও মেয়ে জেরিন আক্তার আহত হন। ওইসময় হামলাকারীরা সৈয়ব আলীর ঘরের ভেতর থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং তার মেয়ে জেরিন আক্তারের হাতে থাকা ১৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোনটিও ভেঙ্গে দেয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী সৈয়ব আলী বলেন, আমি খুবই নিরীহ মানুষ। বিবাদীরা দীর্ঘদিন থেকে আমাকে নানাভাবে হুয়রানি করে আসছে। ঘটনার দিন বাড়ির পাশে সরকারি রাস্তায় বেড়া সরানোকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ওই রাস্তায় থাকা বেড়া যতটুকু সরাতে হয় জনস্বার্থে আমি সরাবো। কিন্তু এলাকার বাসিন্দা ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে ওই মহলটি আমার বাড়ির আশপাশে ঘুরাফেরা করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের আতঙ্কে খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি। প্রশাসনের কাছে আমি ন্যায় বিচার কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুব হাসান জসিম বলেন, এলাকায় জনস্বার্থে সরকারি রাস্তার উপর যাদের সীমানা প্রাচীর রয়েছে সেগুলো সরানোর উদ্যোগ নেন এলাকাবাসী। কিন্তু ঘটনার দিন এলাকার লোকজন আমাকে না জানিয়ে সৈয়ব আলীর বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর থাকা নেটের বেড়া সরাতে যায়। ওই সময় বেড়া সরানোকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয় এমন খবর পরবর্তীতে জেনেছি। দুই-তিন দিনের মধ্যে দুইপক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই সালাউদ্দিন মিফতা বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।