কেবিসি নিউজ : সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সব শঙ্কা কাটিয়ে নির্বিঘ্নে শারদীয় উৎসব দূর্গাপূজা শেষ হয়েছে। এবার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সারাদেশের ন্যায় কুলাউড়ার সকল পূজামন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসারসহ রাজনৈতিক দলসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। অন্যদিকে দুর্গা পূজার শুরু থেকে মন্দিরের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছেন উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল মুহিত বাবলু। উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ১৩’টি পূজামন্ডপে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে আব্দুল মুহিত বাবলু’র নেতৃত্বে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক টিম।
জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে হামলা, ভাংচুর করার কথাবার্তা সম্বলিত ওয়াটসআপের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রশাসনের নজরে এলে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয় পূজা মন্ডপগুলোতে। এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য দেখে বিএনপি নেতা আব্দুল মুহিত বাবলু তাঁর অনুসারীদের নিয়ে কাদিপুর ইউনিয়নের শিববাড়িসহ বিভিন্ন পূজামন্ডপে পাহারার অংশ গ্রহণ করেন।
উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুহিত বাবলু জানান, ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেলেও তাদের দোসরা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জেলা বিএনপি ও যুবদল নেতৃবৃন্দের তত্বাবধানে সব মন্দিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাহারার দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিটি মন্দিরের পাহারা নিয়োজিত ছিল। এছাড়া কাদিপুরে একটি কুচক্রী মহল ইউনিয়নের পূজামন্ডপে হামলা করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে। এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে আমরা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় এলাকার লোকদের নিয়ে মন্দির রক্ষায় পাহারার ব্যবস্থা করি। যারকারণে বড় ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।