কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী থেকে চোরাইকৃত ফ্রিজ উদ্ধারসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) সন্ধায় ইউনিয়নের দক্ষিণ গিয়াসনগর এলাকার ছরকুম মিয়ার ছেলে জয় মিয়ার ঘর থেকে এ ফ্রিজটি উদ্ধার করা হয়। এসময় এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তর গিয়াসনগর এলাকার টেকই মিয়ার ছেলে ফুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে জয়চন্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিয়াসনগর এলাকার মালিক মিয়ার ঘরের দরজা ভেঙে ফ্রিজসহ বেশ কিছু মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় ফুল, জয় ও তাদের সহযোগীরা। এর আগে পশ্চিম রংগীরকুল এলাকার সফিক মিয়ার ঘর এবং গত বৃহস্পতিবার পূর্ব রংগীরকুল এলাকার মালেক মিয়ার ঘর চুরি হয়। তাছাড়া কিছু দিন বন্ধ থাকার পর গরু চুরিও আবার শুরু হয়েছে। ঘন ঘন এসব চুরির ঘটনায় পুরো ইউনিয়ন জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এদিকে সংঘবদ্ধ এসব চোরদের শনাক্ত এবং আটক করতে অতি গোপনে অভিযান শুরু করেন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব। তিনি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় নিজের বিশ্বস্ত কিছু লোককে সোর্স হিসেবে কাজে লাগান। তারই ফলস্বরূপ আজকের এই আটক এবং মাল উদ্ধার। সোর্সের তত্বানুসারে সোমবার বিকালে উত্তর গিয়াসনগর এলাকার টেকই মিয়ার ছেলে ফুল মিয়াকে আটক করা হয়। ফুলের দেয়া তথ্যনুযায়ী দক্ষিণ গিয়াসনগর এলাকার ছরকুম মিয়ার ছেলে জয় মিয়ার ঘর থেকে চোরাই ফ্রিজটি উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনার মূল হোতা জয়কে আটক করা যায়নি।
এবিষয়ে জয়চন্ডী ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব জানান, আমি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম জয়চন্ডীকে চোর মুক্ত করবো। সে লক্ষ্যে কাজও করে যাচ্ছি। আমার দায়িত্ব গ্রহণের দু’মাস হয়েছে। প্রথম দিকে চোর চক্র অকেকটা গা ঢাকা দিয়েছিলো, কিন্তু পরক্ষণেই তারা আবার সক্রিয় হয়ে যায়। তাই আমিও এসব চোর চক্রকে আটক ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে প্রতিটি এলাকায় নিজের বিশ্বস্ত কিছু সোর্সকে কাজে লাগাই। সোর্সের তথ্যের মাধ্যমেই আজকে একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি এবং চোরাই মালামালও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রাণ প্রিয় ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়েই এসব চোর চক্রকে উপড়ে ফেলবো।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার এসআই শাহ আলম জানান, খবর পেয়ে আটককৃত চুর ফুল মিয়াকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।