সিলেটের নগরীর বন্যা কবলিত বেশীরভাগ এলাকায় গত সোমবার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতহীনতা পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। অনেকের বাসায় পানি না উঠলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটছে। সময় যত গড়াচ্ছে বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
সিলেট নগরীর বাসা বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় বন্যা কবলিত বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির।
তিনি বলেন, কিছু জায়গায় সাব স্টেশনের যন্ত্রপাতি পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার অনেক জায়গার বাসা বাড়ির মিটার পর্যন্ত ডুবে গেছে। একারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। তারপরও আমরা সরবরাহ স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে কিছু এলাকায়স্বাভাবিক হয়ে গেছে। পানি কমলে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় নগরের ১০ নম্বর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শেখঘাট, কলাপাড়া, ঘাষিটুলা, বেতের বাজার, কানিশাইল সহ অন্তত ২০টি পাড়া নদীর উপচে পানি ঢুকেছে ওই জনপদে। কয়েক হাজার বাসা-বাড়ি তলিয়ে গেছে। ওই এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি। ঘাষিটুলা ও বেতের বাজার থেকে শতাধিক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
স্বল্প আয়ের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার পানি না বাড়লেও কমার কোন লক্ষন নেই। মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্র কম। এতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রেও জায়গা হবে না। আর কেন্দ্রে যারা আছেন তারা শুকনো খাবার খাচ্ছেন।
এ ছাড়াও উপশহর, কালিঘাট, তালতলার অবস্থা আরও নাজুক এ অবস্থায় অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন, এ ভাবে পানি বাড়তে থাকলে তাদের দূর্ভোগ আরও চরম আকারে ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো অনেক বস্তি এলাকায় কোমর পানি। এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাননি বলে তারা জানান।