মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মন্দিরে পূজো করা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় সুরঞ্জিত বিশ্বাস (১৬) নামে আহত এক কিশোরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। বুধাবার সন্ধ্যার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে যান। সুরঞ্জিত উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের শ্রীপুর এলাকার সুধাংশু বিশ্বাসের ছেলে।
এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন সুরঞ্জিতের পিতা সুধাংশু বিশ্বাস। মামলার পর ঘটনার সাথে জড়িত নান্টু বিশ্বাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের শ্রীপুর এলাকায় কালি মন্দিরে শীতল পূজোর আয়োজন করেন স্থানীয় বাসিন্দা সুধাংশু বিশ্বাস, শ্যাম লাল বিশ্বাসসহ ১০/১২ জন সনাতন ধর্মের লোক। বিষয়টি মেনে নেননি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পঞ্চায়েতের লোকজন। পূজো চলাকালীন সময়ে পঞ্চায়েত পক্ষের ওই এলাকার মৃত যদু বিশ্বাসের ছেলে নান্টু বিশ্বাস, মৃত রমেশ বিশ্বাসের ছেলে রসেন্দ্র বিশ্বাস, রসেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে রনজিত বিশ্বাসসহ প্রায় ১৫/১৬ জনের একটি দল পূজো বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়।
এ সময় সুধাংশু বিশ্বাসরা পূজো বন্ধ না করায় তাদের ওপর ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় পঞ্চায়েত পক্ষ। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সুরঞ্জিত, তার পিতা সুধাংশু, শ্যাম লাল বিশ্বাস, মিন্টু বিশ্বাসসহ ৬ জন আহত হোন।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সুরঞ্জিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে একদিন চিকিৎসার পর বুধবার সন্ধ্যার দিকে সুরঞ্জিতের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের পিতা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত নান্টু বিশ্বাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।