দীর্ঘ সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকার পর আবারও বাংলাদেশিদের ভিসা দিতে যাচ্ছে বাহরাইন সরকার। মানামায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম ফেসবুক লাইভে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে দেশে এসে আটকে পড়া ১৬১ জনকে প্রথম দফায় ভিসা দিচ্ছে দেশটির সরকার।
বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় বাহরাইন সরকার। মহামারির মধ্যে দেশে ফিরে যারা আটকা পড়েন, তারাও সে কারণে যেতে পারছিলেন না। এরপর বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসের উদ্যোগে বাহরাইন সরকারের ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়ে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের নিবন্ধন করতে বলা হয়।
সে সময় ৯৬৭ জন বাংলাদেশি ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নজরুল বলেন, তখন বলা হয়েছিল, তাদের মালিকপক্ষ বা নিয়োগকর্তা যাতে জানায় যে, তাদের ফেরত নিতে রাজি আছেন। মালিকপক্ষের সাড়া পেয়ে ১৬১ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত নজরুল বলেন, বাহরাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুরুতে ভিজিট ভিসা ইস্যু করবে। সেখানে যাওয়ার পর নিয়োগকর্তার মাধ্যমে সেটাকে ওয়ার্ক ভিসায় রূপান্তর করে সেন্ট্রাল পপুলেশন রেজিস্ট্রেশন (সিপিআর) করা যাবে। প্রাথমিক তালিকায় থাকা ১৬১ জনের নাম-পরিচয় গত বুধবার ফেসবুকে প্রকাশ করে দূতাবাস।
এক বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয় ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়াও। সেখানে বলা হয়, ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বাহরাইন সরকারের ই-ভিসার ওয়েবসাইটে। প্রথমে ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে তালিকাভুক্তকর্মী নিজে আবেদন করতে পারবেন না। তার পক্ষে আবেদন করতে হবে স্পন্সর বা মালিককে।
আবেদনের পর স্পন্সর বা মালিককে বাহরাইন সরকার থেকে পাওয়া ‘ই-ভিসা রেফারেন্স’ নম্বর দূতাবাসকে ইমেইলে ([email protected]) অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (+৯৭৩-৩৩৩৭৫১৫৫) জানাতে হবে। এরপর দূতাবাস ওই কর্মীকে ভিজিট ভিসা দিতে বাহরাইন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবে।
তবে মহামারির মধ্যে এসে আটকে পড়া যেসব বাংলাদেশি ফেরত যেতে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু তালিকাভুক্ত হননি তাদের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত নজরুল বলেন, তারা নির্দিষ্ট সময়ে মালিকপক্ষ বা স্পন্সরের সম্মতির বিষয়ে দূতাবাসকে অবহিত করতে পারেননি। সে কারণে একটা বড় অংশ তালিকার বাইরে। স্পন্সরের সম্মতি পেলে আমরা তাদের ফেরানোর বিষয়ে বাহরাইন সরকারকে অনুরোধ করব।
এ সময় কর্মীদের মধ্যে যারা ফ্যামিলি ভিসায় পরিবারের সদস্যদের নিতে চান, তাদেরও পরিবারের সদস্যদের নাম-পরিচয় ও পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে দূতাবাসের ইমেইলে আবেদন করার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত।