মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রসেন্দ্র কুমার দাস (৫২) নামে এক শিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (০৪ সেপ্টম্বর) দুপুরে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের মহারানি গ্রাম থেকে ওই শিক্ষকের শয়নকক্ষে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
রসেন্দ্র কুমার দাস মহারানি গ্রামের মৃত উপেন্দ্র কুমার দাসের ছেলে। তিনি ফকিরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে ও ঋণের চাপের কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে শিক্ষক রসেন্দ্র কুমার দাসের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার বাবার বাড়িতে রয়েছেন। এছাড়া রসেন্দ্র ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। এসব কারণে তিনি একধরনের মানসিক চাপে ছিলেন।
এদিকে শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টার দিকে স্বজনদের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে নিজকক্ষে ঘুমাতে যান রসেন্দ্র কুমার দাস। রোববার সকালে রসেন্দ্রের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তার বোন কক্ষে গিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম রোববার বিকেলে বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে শিক্ষক রসেন্দ্র কুমার দাসের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার বাবার বাড়িত রয়েছেন। এছাড়া তিনি ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। এসব কারণে তিনি হয়তো একধরনের মানসিক চাপে ছিলেন। প্রাথমকিভাবে আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ দড়িতে ঝুলে থাকায় গলায় দাগ রয়েছে। শরীরের আর কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।