শুধু চাকরিই যে জীবনে সফলতা আনতে পারে এরকম ভাবাও ভুল। চাইলে নিজের মেধা আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে অন্যভাবেও সফল হওয়া যায় এবং বেকারত্ব দূর করতে অনেককেই চাকরি দেওয়া যায়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যে শুধুই চাকরির জন্য, তা কিন্তু নয়, যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা, ফ্রান্স প্রবাসী উদ্যোক্তা আব্দুস সোবহান ও তাঁর ভাই দৈনিক ভোরের দর্পণের স্টাফ রিপোর্টার জামিল আহমদ মোহন (আহমেদ জামিল)। তারা দুই ভাই উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের রাউৎগাঁও গ্রামে গড়ে তুলেছেন ‘জে এন্ড এস’ পার্কিং টাইলসের ফ্যাক্টরি। ছোট পরিসরে হলেও কারখানায় উঁকি দিচ্ছে এখন বিরাট সম্ভাবনা। বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়াটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। তাদের তৈরি টাইলস এখন নিজ জেলার গন্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। ব্যবসা শুরুর ৯ মাসেই পাওয়া ব্যাপক সাফল্য আজ হাসি ফুঁটিয়েছে অনেকের মুখে। তাদের এই প্রচেষ্ঠায় এলাকায় নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জামিল বলেন ‘আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন একটি প্রতিষ্ঠান করার তারই ধারাবাহিকতায় স্বল্প পরিসরে জে এন্ড এস পার্কিং টাইলস ফ্যাক্টরি যাত্রা শুরু করেছি। আশা করছি মহান আল্লাহ চাইলে এই প্রতিষ্টান থেকে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং এলাকার অনেক বেকার যুবক কাজ করতে পারবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা এই বছরের শেষের দিকে পার্কিং টাইলসের পাশাপাশি মোজাইক টাইলস উৎপাদনে যাচ্ছি। বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়াটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। তিনি আরো বলেন, ‘কোভিড ১৯ সময়ে তাদের দুই ভাইয়ের পরিকল্পনা করেন পার্কিং টাইলসের ফ্যাক্টরি দেওয়ার এর পর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০২১ সালে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু জে এন্ড এস পার্কিং টাইলসের। পার্কিং টাইলসে ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল সিমেন্ট, সারি বালু ও নুড়ি পাথর। আমাদের দেশে তথা নিজ এলাকাতেই বেশ সহজলভ্য এই কাঁচামাল। ছোট আকারে শুরু করতে পুঁজিও তেমন লাগছে না। তখনই এমন একটি কারখানা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেই।’ বর্তমানে আমাদের ফ্যাক্টরিতে মাসে ৩-৪ হাজার পিছ টাইলস বিক্রি হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে প্রতি মাসে ১০-১২ হাজার পিছ টাইল্স বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পার্কিং টাইলসের কারখানায় কর্মরত ম্যানেজার সোহেল আহমদ বলেন, ‘তাঁর বন্ধু আব্দুস সোবহান এর কাছ থেকে জানতে পেরে আমি বিপুল সম্ভবনাময় দেখে কারখানার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি। হালকা কাজে ভালো পারিশ্রমিক পেয়ে শ্রমিকরাও বেশ খুশি।’ প্রথমে একজন শ্রমিককে কাজ শিখিয়ে তাকে নিয়ে পথচলা শুরু হয়। এখন এই কারখানায় ৫-৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ শুরু করা হবে।