মহানবী (সা.) বিধবা নারীদের সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন তারা অপয়া ও অস্পৃশ্য নয়। চাচা আবু তালেব মহানবী (সা.) সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি শুভ্র, তার চেহারার অসিলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করা হতো, তিনি এতিমদের খাবার পরিবেশনকারী আর বিধবাদের তত্ত্বাবধায়ক।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০০৮)
আত্মত্যাগী ও নিঃস্বার্থ বিধবার পুরস্কার
ইসলাম বিধবা নারীকে অবিবাহিত থাকতে নিরুৎসাহিত করে। এর পরও কোনো বিধবা নারী যদি তার সন্তানের জীবন ও ভবিষ্যতের চিন্তা করে নিজের স্বাদ-আহ্লাদ বিসর্জন দেয় এবং সন্তান প্রতিপালনে সততার সঙ্গে ধৈর্যের পরিচয় দেয়, তবে পরকালে সে পুরস্কৃত হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন— আমি ও (নিজের যত্ন না নেওয়ায়) চেহারায় দাগ পড়া নারী পরকালে এভাবে থাকব অথবা শাহাদাত ও মধ্যমা আঙুলের চেয়ে বেশি দূরত্ব থাকবে আমাদের মধ্যে। সে হলো সেই নারী যার স্বামী মারা গেছে এবং তার বংশীয় মর্যাদা ও সৌন্দর্য থাকার পরও সে নিজেকে বিরত রাখে এতিম সন্তানদের জন্য—যতক্ষণ না সন্তানরা (স্বাবলম্বী হয়ে) পৃথক হয়ে যায় অথবা মারা যায়।
(সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৫২৪৯)
যে বিধবার দায়িত্ব গ্রহণ করবে
ইসলাম বিধবা নারীর দায়িত্ব গ্রহণকারীর জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘বিধবা ও মিসকিনের জন্য খাদ্য জোগাড়ে চেষ্টারত ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর মতো অথবা রাতে সালাতে দণ্ডায়মান ও দিনে সিয়ামকারীর মতো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৩৫৩)। আল্লাহ আমাদের বিধবা ও অসহায় নারীদের প্রতি সদয় হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।