নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে রাজপথে পুরোপুরি সক্রিয় হতে চায় বিএনপি। এ ইস্যুতে সরকারবিরোধী দলগুলো সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চলার চিন্তা করছেন নেতারা। এর অংশ হিসাবে ইসি পুনর্গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে হবে আলোচনা। পাশাপাশি নেয়া হবে নাগরিক সমাজের মতও। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন না হলে এর প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলনে নামবে বিএনপি। সেখানেও রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের পাশে চায় তারা। দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নেতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছে হাইকমান্ড। শিগগিরই দলীয় ফোরামে আলোচনার পর এ ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে চলমান দূরত্ব ঘোচানোরও উদ্যোগ নিচ্ছে হাইকমান্ড। বিশেষ করে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপির) সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায় তারা।
ইতোমধ্যে দলের নীতিনির্ধারক ও নাগরিক সমাজের একাধিক প্রতিনিধি এ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। যার বহির্প্রকাশও দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর একই মঞ্চে দেখা গেছে বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতাকে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। জোট থেকে জামায়াতকে ছাড়ার যে আলোচনা ছিল তা থেকে দলটি পিছু হটছে বলে মনে করছেন অনেকে।