তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা। আর এ উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহায়তা।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
মিশরের শারম আল শাইখ শহরে চলমান ২৭তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। জলবায়ু সম্মেলনে মূল অধিবেশনের পাশাপাশি সকালে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘টেকসই জ্বালানি খাতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি : প্রেক্ষিত বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট’ সেশনে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেল মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্সের মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর এবং জিআইজেডের শক্তি বিশেষজ্ঞ মার্টিন লিয়াম্বাই প্যানেলিস্ট হিসেবে সেশনে যোগ দেন।
এ দিন বিকেলে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি গবেষণা প্রকল্পের সূচনা : দক্ষিণ বিশ্বের ক্ষতিপূরণ সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সেশনেও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা চিহ্নিত করা এবং তা পূরণের জন্য অভিযোজন ও প্রশমনের সুনির্দিষ্ট পন্থা এখনো নিরুপিত হয়নি। তবে এবারের জলবায়ু সম্মেলনে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে, যা আশাব্যঞ্জক
পরিবেশবিদ ড. সেলিম উল হকের সঞ্চালনায় পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. নিজাম আর খান, ড. ভীম অধিকারী এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ উপদেষ্টা মাধব কার্কি প্রমুখ সেশনে বক্তব্য রাখেন।