কুলাউড়ায় জয়নাল মিয়া নামের এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগে প্রধান আসামি মো. মসনবী উর রাহিম প্রকাশ মুছাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুছা জয়চণ্ডীর পাঁচপীর জালাই এলাকার মো. সামছুল আলমের ছেলে।
এর আগে, বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের পাঁচপীর জালাই এলাকা থেকে ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তারা হলেন- জয়চণ্ডী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও তার শ্যালক আসামি শরিফ মিয়া। তাদের মধ্যে মনু পাঁচপীর জালাই এলাকার মৃত রহমান মিয়া ছেলে ও শরিফ জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জায়ফরনগর এলাকার মৃত তুতা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মুছা রাজনগরের উত্তর দত্তগ্রাম জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। গত ৪ বছর আগে বছর তিনি ওই মসজিদের ইমামতি ছেড়ে অন্য যায়গায় ইমামতির জন্য চলে যান। মুছা উত্তর দত্তগ্রামে ইমামতির দায়িত্বে থাকাকালে জয়নাল মিয়া নামের এক ফল ব্যবসায়ীর সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে পাওনা টাকার জন্য জয়নাল মিয়াকে রাজনগরের টেংরা বাজার থেকে কবিরাজ দেখানোর কথা বলে পাঁচপীর জালাই এলাকায় নিয়ে যায় মুছাসহ তার গংরা। সেখানে যাওয়ার পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যার দিকে রাবার বাগান এলাকায় জয়নাল মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।
পরে মঙ্গলবার জয়নাল মিয়ার ছেলে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। নিহত জয়নাল মিয়া রাজনগর উপজেলার দত্তগ্রাম এলাকার মৃত মুনসী আরজত মিয়ার ছেলে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুছা জয়নালকে পাওনা টাকার জন্য হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। তাকে দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।