কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ মনু মিয়াকে হয়রানীমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি ও নি:শর্ত মুক্তি দিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকালে ইউনিয়নের মেরিনা চা-বাগান এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মনু মিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
পাঁচপীর জ¦ালাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়ার সভাপতিত্বে এবং অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, প্রবীণ মুরব্বি আব্দুস সালাম লাল, মকবুল মিয়া, মেরিনা চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি খোকা নায়েক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, খোকন মিয়া, নজির আলী, গেন্দু মিয়া, জাকির মিয়া, রবি খাড়িয়া প্রমুখ। এসময় মানববন্ধনে স্থানীয় পাঁচপীর জ¦ালাই, বৈঠাং জ¦ালাই, গোগালিছড়া ও মেরিনা চা-বাগান এলাকার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৭ নভেম্বর কুলাউড়ার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পূর্ব রঙ্গিরকুল এলাকার একটি বাগানের পাশে মো. মসনবি উর রহমান মুছা তাঁর পূর্ব পরিচিত রাজনগরের ফল ব্যবসায়ী জয়নাল মুন্সিকে ডেকে এনে নিজে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা জয়নালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মসনবি উর রহমান মুছাকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের ৩বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. মনু মিয়াকে জড়ানো হয়েছে। নিহত জয়নাল মৃত্যুর আগে স্থানীয় এক বাসিন্দার ফেসবুক লাইভে স্বীকার করেন, মুছা একাই তাঁকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। এছাড়া ওই মামলার প্রধান আসামী মসনবি উর রহমান মুছা মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন জয়নালকে একাই তিনি হত্যা করেছেন। এই মামলায় ইউপি সদস্য মনু মিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তাকে এই মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।
কুলাউড়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, জয়নাল হত্যা মামলায় তাঁর ছেলে মাছুম মুন্সি বাদি হয়ে ৬ জনকে নামউল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ইউপি সদস্য মনু মিয়া ওই মামলার ৫ নং এজাহারভুক্ত। এ ঘটনায় যদি ইউপি সদস্য জড়িত না থাকেন তাহলে চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন থেকে তাকে বাদ দেওয়া হবে।