রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কুলাউড়ায় রাউৎগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন, সভাপতি খয়াজ, সম্পাদক রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু কুলাউড়া পৌর প্রশাসকের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি দিয়ে বর্জ্য সংগ্রহে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পাড়া মহল্লায়  কুলাউড়ায় ভূমি অফিসের ২ কোটি টাকার দখলকৃত জায়গা উদ্ধার চালু হচ্ছে পরিত্যক্ত সাত বিমানবন্দর কুলাউড়ায় নানা আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন কুলাউড়ায় ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী কয়েছ গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা মৌলভীবাজারে আইনজীবী সুজন হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জন গেপ্তার কুলাউড়ায় ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে ২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে কুলাউড়া বরমচালে ফ্রেন্ডস ক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি আসাদ – সম্পাদক খালেদ

প্রকাশিত সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে “কুলাউড়ায় গোয়াল ঘর জ্বালানোর নাটক

সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে হয়রানি” শীর্ষক সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ
করেছেন কুলাউড়ার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মহেষগৌরি গ্রামের বাসিন্দা আছলম মিয়া
ও তাঁর পরিবার। সংবাদে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গোয়াল ঘর জ্বালানোর মিথ্যা
অভিযোগ দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগটি সঠিক নয় বলে
দাবি আছলম মিয়ার পরিবারের।

প্রকৃত ঘটনা হলো- ১৯৫৪ সালে কুরফান আলীর পিতা হাছন আলীর কাছ থেকে আছলম
মিয়ার পিতা সৈয়দ মিয়া বাড়ী ক্রয় করেন রাস্তাসহ। ওই রাস্তা আছলম মিয়াকে
ব্যবহার না করার জন্য ২০০৬ সালে (স্বত্ব ১০৯/২০০৬) মামলা দায়ের করেন
কুরফান আলী। পরবর্তীতে ২০১০ সালে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরে
কুরফান আলী আপিল (নং- ৯৭/১০ ইং) করেন। আপিলের পর ২০১৯ সালে আদালতের রায়
কুরফান আলীর বিপক্ষে চলে যায়। পরবর্তীতে আর কোন উপায় না পেয়ে গত ১৩
নভেম্বর কুরফান আলী গং প্রায় ১০০/১৫০ ভাড়াটে লোক নিয়ে পূর্ব শত্রুতার
জেরে আছলম মিয়ার চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি কেটে ফেলেন। এই রাস্তা দিয়ে
স্থানীয় আরো ২০-২৫টি পরিবারের লোকজন ছাড়াও তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে
যাতায়াত করেন। সেই রাস্তাটি ভাড়াটে লোকজন দিয়ে কুরফান আলী গং কেটে ফেলেন।
ঘটনার দিন দুপুর ১২ টায় মহেষগৌরি গ্রামের আছলম মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে
কুরফান আলী গং ভাড়াটে লোক নিয়ে বসত বাড়ীতে হামলা করে বসত ঘরের টিনের চাল
ছিদ্র করে গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বসত বাড়ী থেকে বের হওয়ার রাস্তা
কোদালসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাটি কেটে বড় বড় গর্ত করে জমিতে মিশিয়ে দেয়
এবং টিনের বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় আছলম মিয়া বাঁধা
দিতে চাইলে তাকে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি ডান হাত দিয়ে
প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করেন। লাঠির আঘাতে ডান হাতের হাড় ভেঙে গেলে দৌড়ে
নিজ ঘরে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। তাঁর আত্ম চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে
আছলম মিয়া কে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করান। খবর
পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারী পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভাঙ্চুর, হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট, গুরুতর জখম, অগ্নিসংযোগ ও
ক্ষতিসাধনসহ প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গত ২৪ অক্টোবর কুলাউড়া থানায় আছলম
মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত
১০০/১৫০ জনকে আসামী করে (মামলা নং-২৮) মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান
আসামী কুরফান আলী (৫৬) সহ ৪ জন আসামী জেল হাজতে রয়েছেন। গত ১ নভেম্বর
মঙ্গলবার মৌলভীবাজার আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পণ করলে আদালত মামলার ১ নং
আসামী কুরফান আলী (৫৬) সহ তাঁর সহযোগী স্থানীয় এলাকার আমিন আলীর পুত্র
রকিব খান (৪৫), জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বাগদলী বাড়ির আলাই মিয়ার
পুত্র মহিন মিয়া (২২) ও সাদিপুর গ্রামের রজব আলীর পুত্র সালাউদ্দিন (৩০)
কে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

প্রকাশিত সংবাদে আমাদের পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা
হয়েছে তা আদৌ সঠিক নয়। আমরা এই সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে তীব্র
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ | কেবিসি নিউজ ফ্রান্স
Theme Developed BY NewsFresh