দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা ও সুদৃশ্য অপরূপ ইন্টেরিয়র ডিজাইন। অসামান্য কারুকাজ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ছোট পরিসরে তৈরি করা হয়েছে ফুলবাগান। রয়েছে পাঠাগারও। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে গড়া শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর চারদিনের জন্য মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনে এসেছে।বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় জনসাধারণের জন্য এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান।তিনি বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনগাঁথা জানতে সর্বস্তরের জনসাধারণকে বঙ্গবন্ধু রেল জাদুঘর পরিদর্শন করার আহবান জানান।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের পরিচালনায় উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মুহিব উদ্দিন আহমদ, স্টেশন মাস্টার (গ্রেড-৪) রোমান আহমদ, উপজেলা কৃষক লীগ সম্পাদক ফুয়াদ আলম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ প্রমুখ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যোগে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনগাঁথা ছড়িয়ে দিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের সূচনা হয়। সূচনার পর দেশের নানা প্রান্তে ঘুরছে রেলের এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার কুলাউড়া রেলস্টেশনে আসে এই ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভ্রাম্যমাণ এই জাদুঘরে প্রবেশ করেই দর্শনার্থীরা পরিচিত হবেন জাতির পিতার শৈশবের দিনগুলোর সঙ্গে। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন, বেড়ে ওঠা, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে গণমানুষের প্রাণের নেতা হয়ে ওঠা এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তার অবদান তুলে ধরা হয়েছে।
পাশাপাশি রয়েছে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবর্ণনীয় নির্যাতনের চিত্র, মিথ্যা মামলা ও কারাভোগের করুণ দলিল। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা, যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ জানা যাবে। কোচের এক প্রান্তে একটি বড় এলইডিতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ, থিম সং এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত অন্যান্য গান প্রচার করা হচ্ছে।
জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে থাকা রেলের এক অ্যাটেনডেন্ট বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে তৃণমূলের মানুষকে জানানোর জন্য রেলের এ উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুহিব উদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী চারদিন (২২ নভেম্বর পর্যন্ত) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ও বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে।