মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ বাজারে শতাধিক অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য বিতরণের অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।
সাংসদ পীর মিসবাহ বলেন, ‘বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উন্নয়নের জন্য কেউ আমার পক্ষেও থাকতে পারে আবার বিপক্ষেও থাকতে পারে। কিন্তু এটা আপনাদের স্বীকার করতে হবে আমার সময়ে আপনাদের চোখের সামনে এই উপজেলায় যে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে সেটা অতীতে কেউ আর করতে পারেনি। আমার সময়েই এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে এই উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ শুরু হবে এবং আমাদের যে উন্নয়নমূলক কিছু কাজ রয়েছে সেটাও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নে বাধা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। উন্নয়নের দ্বারা উন্নয়ন হবে। আর যদি কেউ বাধা বা আড়াল থেকে এই উপজেলাকে উন্নয়ন বঞ্চিত করতে চায় তাহলে তাকে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আসমাবিন রফিক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাস্টার, এলজিডির সহকারী প্রকৌশলী মো. মখলেছুর রহমান র্সদার, উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মো. আব্দুল কাদির।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন পলাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূম মাস্টার, দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদ আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন, পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধুলহাস মিয়া, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল আহমদ, জাপা নেতা ডা. চান মিয়া, হাবিলদার মুর্শেদ, আওয়ামী লীগ নেতা হেলিম শেখ, শাহজাহান, কালী কুমার, শংকর, তৈয়বুর, জাপা নেতা বুলবুল মেম্বার, স্বপন পাল, নুরুল আমিন, আমেনা মেম্বার, আনোয়ার, সোহেল, আমির হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া বিশ্বম্ভরপুর এলজিইউডর বাস্তবায়নে ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে পলাশ বাজার থেকে জনতা বাজার পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন কাজ, পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (২য়, ৩য় ও ৪র্থ তলা) কাজ এবং ৪২ লাখ টাকা ব্যায়ে কারেন্টের বাজার ও ধনপুর সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন পীর মিসবাহ।