মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোটর সাইকেল চুরি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ আন্তঃজেলা ও অন্তঃবিভাগীয় চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬টি চোরাইকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ঘোষ। আটককৃতরা হলেন-,রাসেল আহমদ (২৮), জুনেদ আহমদ (২৩) ও জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০)।
পুলিশ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কুলাউড়া থানা এলাকাসহ আশপাশ এলাকা হতে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কুলাউড়া থানাধীন মাগুরা এলাকা থেকে সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথ এর মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি চৌকস টিম চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে সাড়াশী অভিযানে নামে।
অভিযানকালে প্রথমে আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগীয় মোটর সাইকেল চোর চক্রের সদস্য কমলগঞ্জ থানার কালেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীরকে কুলাউড়া পৌরসভার কাছুরকাপন এলাকা হতে মোটর সাইকেলের তালা খোলার ৪ টি মাস্টার কীসহ আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আন্তঃ জেলা ও বিভাগীয় মোটর সাইকেল চোর রাসেলকে কমলগঞ্জ থানার কালেঙ্গা গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ী থেকে মোটর সাইকেল এর খোলা বডিসহ আটক করা হয়। জাহাঙ্গীর ও রাসেলের দেওয়া তথ্যমতে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানার মেহেরপুর গ্রাম থেকে সাইকেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা জুনেদ আহমদকে আটক করা হয়।
এরপর জাহাঙ্গীর, রাসেল ও জুনেদকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যমতে আন্তঃবিভাগীয় চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য সামাদ এর নিজ বাড়ী সিলেট জেলাধীন গোলাপগঞ্জ পানিয়াগাঁ গ্রামে অভিযান পরিচালনা করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় এবং সামাদের বাড়ী থেকে একটি চোরাই সুজুকি মোটর সাইকেল ও একটি আরটিআর মোটর সাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। তাদের কাছ থেকে মোটর সাইকেল খোলার যন্ত্রাংশসহ মোট ৫ টি সাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোটর সাইকেল চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।