সিলেটের সোনারপাড়া আবাসিক এলাকার এসপি টাওয়ার-৩ নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট ও নিষেধাজ্ঞার মামলা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা দায়েরকারী সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে তথ্য গোপন করে মামলা দায়ের করার কারনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের আদেশ করেছেন। ১২ ডিসেম্বর সোমবার মামলার শুনানী শেষে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল এ রায় প্রদান করেন।
সিলেট নগরের সোনারপাড়া আবাসিক এলাকায় নবারুন-২/এ বাসায় এসপি টাওয়ার-৩ নির্মাণ করছিলেন ভুমির মালিক কুলাউড়ার ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম। এতে জায়গা দখলের অভিযোগ তুলে পাশ্ববর্তী নবারুন-২ নং বাসার বাসিন্দা ফিনল্যান্ড প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান মুন্না প্রথমে সিলেটের এডিএম আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে সত্যতা না থাকায় এডিএম আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিলে ২০২১ সালের ১৫ই নভেম্বর সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে পুনরায় মামলা করেন মুন্না। তার ওই মামলার প্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক চলতি বছরের ১৪ ই জুলাই ভূমির উপর উভয়পক্ষের জন্য স্থিতিবস্থা জারি করেন।
এই অবস্থায় গত ৩০ শে জুন হাইকোর্টে স্থিতাবস্থা চেয়ে মামলা ও রুল জারির মামলা করেন সাজ্জাদুর রহমান মুন্না। তার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই ভূমির উপর ৬ মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন। পরে মামলার অপর পক্ষ সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম স্থিতাবস্থা প্রত্যাহারের আবেদন জানালে শুনানীর জন্য রাখা হয়। বাদিপক্ষের তরফ থেকে কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তনের পর সোমবার হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে শুনানী হয়।
এসপি টাওয়ার-৩ এর স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম পক্ষের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মৃদুল দত্ত সোমবার রাত ৯টায় এই প্রতিবেদককে বলেন, তথ্য গোপন করে উচ্চ আদালতে মামলার করায় হাইকোর্টে শুনানী শেষে মামলা ও রিট উভয়ই খারিজ করা হয়। একই সঙ্গে মামলার বাদি সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। এখন থেকে এসপি টাওয়ারের উপর আর হাইকোর্টের কোনো নিষেধাজ্ঞা বহাল নেই।
এসপি টাওয়ার-৩ এর স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারনে হয়রানী করতে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এখন রায়ে হয়রানির বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে। তবে চাঁদাবাজির মামলায় মুন্না ইতোমধ্যে কারাবরণ করেছে। তিনি আরো জানান, সাজ্জাদুর রহমান মুন্নার মামলায় নিম্ন আদালতের স্থিতাবস্থা থাকায় আমরা কাজ না করলেও সম্প্রতি মুন্না আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ড্রেন নির্মাণের নামে রাস্তা খনন করে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী করে রেখেছেন। এতে মুন্না নিজেই আদালত অবমাননা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।