হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। গত ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিঠি গঠনের এ নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। ১২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক সেলিম আহমদের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মোবারক হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নন্দিতা দাস, ফেরদৌসি কাওসার, আলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাৎ সামছুন্নাহার বেগম, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল।
মাউশি জানিয়েছে, কমিটি গঠনের বিষয়টি মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা তদারকি করবেন। যারা নির্দিষ্ট সময়ে এ কমিটি গঠন করবেন না তাদের তালিকা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ মে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের জন্য সর্বশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার মাউশি’র সূত্র ধরে বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো কমিটি নেই, সেগুলোতে দ্রুত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এনসি স্কুলে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অতিদ্রুত সব স্কুলকে কমিটি গঠন করার জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, কমিটিতে নারী সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে হবে। সম্ভব হলে নারী সভাপতি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সব আঞ্চলিক পরিচালককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব অফিস এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের কথা বলা হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটি অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখবে। অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবে। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এ সময়সীমা ৩০ কর্মদিবস থেকে ৬০ কর্মদিবস বাড়াতে পারবে। প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বক্স থাকবে।