দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো, সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু গত ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। ২৬ জুন থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮৬ দিনে (ছয় মাস) ৩৯৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। এই টাকা জমা হচ্ছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের জন্য জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় ও মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের মাওয়ায় দুইটি টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। দুটি টোল প্লাজায় ছয়টি করে বুথ রয়েছে।
পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের কাজটি সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন যৌথভাবে করছে। আর তাদের পক্ষে মাঠপর্যায়ে এ কাজটি করছে বাংলাদেশের টেলিটেল কমিউনিকেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী রাজন বিশ্বাস জানান, সেতুর কোন প্রান্ত দিয়ে কত যানবাহন পারাপার হয়, কোন প্রান্তে কত টাকা টোল আদায় হয়- তা প্রতিদিন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। আর টেলিটেল কমিউনিকেশন যে টোল আদায় করে, তার প্রতিদিনের হিসাব সেতু কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করার পরদিন সকাল ৬টা থেকে সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
সেতু বিভাগ জানিয়েছে, মাসের হিসাবে পদ্মা সেতু থেকে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৬০ কোটি ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৫০ টাকা।