মৌলভীবাজারে তিনদিন ব্যাপী শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ও মৌলভীবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ১০ জানুয়ারি সমাপনী দিনে এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল ও সাঁতার প্রতিযোগিতা। মেগা ফাইনালে কুলাউড়া উপজেলা ফুটবল দল শক্তিশালী বড়লেখা উপজেলাকে ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সেই সাথে সাতাঁর প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে কুলাউড়া উপজেলার তরুণ-তরুণীরা আরও ৯টি পুরস্কার অর্জন করেছে। সেই সাথে তিন দিনের ইভেন্টে কুলাউড়া উপজেলা অনেক ইভেন্টে অনেক লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন/ রানার আপ /১ম স্থান/২য় স্থান অর্জন করে। সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণ করেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান।
এর আগে সোমবার ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দিনে ফুটবল, কাবাডি ও ব্যাডমিন্টন খেলা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনের খেলায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদসহ ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদরা।
গেমসে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলা দল অংশগ্রহণ করে। এর আগে রোববার শুরু হয় শেখ কামাল দ্বিতীয় যুব গেমস। উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হয় অ্যাথলেটিক্স, দাবা ও কারাতে প্রতিযোগিতা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমস এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, কুলাউড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মো. আব্দুর রাজ্জাক, চেস প্লেয়ার্স এসোসিয়েশন মৌলভীবাজারের সভাপতি এম. মছব্বির আলী প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বিভিন্ন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ কামাল যুব গেমসে কুলাউড়ার পুরস্কারপ্রাপ্ত ইভেন্ট হলো- ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন, কাবাডিতে রানার্স আপ, ব্যাডমিন্টনে একক (তরুণী) রানার্স আপ হয়েছেন কাকলী, ব্যাডমিন্টন দ্বৈত (তরুণী) রানার্স আপ হয়েছেন তানিয়া ও কাকলি, ১০০ মিটার দৌড়ে (তরুণ) ১ম এহসান হাদী ও ২য় সায়হান মিয়া, ১০০ মিটার দৌড়ে (তরুণী) ২য় কাকলি বেগম, ২০০ মিটার দৌড় (তরুণী) ২য় মাইশা জান্নাত চাঁদনী, ৮০০ মিটার দৌড় (তরুণ) ২য় স্বাধীন আহমদ ফরহাদ, ১৫০০ মিটার দৌড় (তরুণ) ১ম স্বাধীন আহমদ ফরহাদ, উচ্চ লাফ (তরুণ) ১ম এহসান হাদী, উচ্চ লাফ (তরুণী) ২য় কাকলী বেগম, দীর্ঘ লাফ (তরুণ) ১ম হাবিব হোসেন অপু, গোলক নিক্ষেপ (তরুণ) ১ম সায়হান মিয়া, সাঁতার ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইল সাঁতার ১ম এহসান আহমদ জাবেদ ও ২য় নোমান আহমদ মাহফুজ, ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইল সাঁতার ১ম এহসান আহমদ জাহেদ, ৫০ মিটার চিৎ সাঁতার (তরুণী) ২য় কাকলি বেগম, ১০০ মিটার চিৎ সাঁতার ২য় শিরিন আক্তার, ৫০ মিটার বুক সাতার ২য় লাবনী আক্তার চাঁদনী, ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল তরুণী ২য় লাবনী আক্তার চাঁদনী, ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল ২য় এহসান হাদী জাহেদ। সকল দলের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসিয়াল-সোহেল আহমদ, কাবুল পাল, শহীদুল ইসলাম শাহীন, জোয়েনা খানম পপি, কামরুল ইসলাম সামাদ, খন্দকার আফজল, জাহিদ হোসেন, রেজবিন আক্তার, তাহেরা চৌধুরী, কলি মল্লিক।