কুলাউড়া পৌর শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত মরা গুগালী খাল খনন কাজের উদ্বোধন হয়েছে। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌরসভার উছলাপাড়াস্থ আব্দুল বারী জহুরুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে খনন কাজের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকার নদী, নালা, খাল-বিল অবৈধ দখলমুক্ত করে খননের কাজ করছে বিভিন্ন জায়গায়। খাল খননের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার সমাধান ছাড়াও কৃষকসহ আশপাশের লোকজন বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে। এতে সকলকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। বৃহত্তর উপকারের জন্য অনেক সময় ক্ষুদ্র স্বার্থকে বিসর্জন দিলে শহরের সকলেরই মঙ্গল হবে।
পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু, কুলাউড়া থানার ওসি মোঃ আব্দুছ ছালেক, জাসদ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমদসহ পৌরসভার সকল কাউন্সিলরবৃন্দ।
কুলাউড়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৫০ বছর থেকে গুগালী খালটি খনন না করায় পৌরসভার ৮, ৫, ৪ ও ১ নং ওয়ার্ড এলাকা প্লাবিত হলে দীর্ঘ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায়। এতে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট, ড্রেন, মানুষের বসতবাড়ি ও কৃষি জমিতে পানি জমে ব্যাপক ক্ষতি হয়। খালটি কুলাউড়া পৌরশহরের পূর্বদিকের রেলওয়ে এলাকা থেকে শুরু হয়ে কাদিপুর ইউনিয়নের গুপ্তগ্রাম-মৈন্তাম এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মরা গুগালীর পানি হাকালুকি হাওরে গিয়ে মিশেছে। ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার মরা গুগালী খালটি খননের কাজ পায় ময়মনসিংহের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম রহমান।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে নদী খনন প্রকল্পের আওতায় মরা গুগালী খাল খননে বর্ষা মৌসুমে পৌর শহরের জলাবদ্ধতার সমস্যার স্থায়ী নিরসন হবে। এতে মরা গুগালী খালটি তার হারানো প্রাণ ফিরে পাবে। খননের ফলে আশপাশের কৃষকরা বোরো চাষ করতে পারবেন মরা গুগালীর পানি দিয়ে।