মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ধান খাওয়ায় আটকে রাখা গরু ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হামলায় কান কাটা পড়েছে বৃদ্ধের। উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পুশাইনগর গ্রামে গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
আহত নগেন্দ্র কুমার ঘোষ (৭৫) দুদিন ধরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চান মিয়া ও তার ছেলে মাক্কু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুশাইনগর গ্রামের বাসিন্দা নগেন্দ্র ঘোষের গরু ধলিয়া বিলে প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার বোরো ধান খাওয়ায় তিনি গরুটি আটকে রাখেন। নগেন্দ্র খবর পেয়ে গরু ছাড়িয়ে আনতে গেলে সুরুজ মিয়ার ভাই মাক্কু মিয়া বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাক্কুসহ তার স্বজনরা দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে নগেন্দ্রর ওপর হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীদের ধারালো দায়ের কোপে নগেন্দ্রর বাম কান কেটে ঝুলে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার রাতে নগেন্দ্রর স্ত্রী অনিতা রানী ঘোষ বাদী হয়ে মাক্কু মিয়াসহ চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন।
নরেন্দ্রর চাচাতো ভাই অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু রোববার বিকেলে বলেন, নরেন্দ্রর কান এখনো জোড়া লাগানো যায়নি। তাকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, মামলার বাকি আসামিদের তারা গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।