৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক হৃদয়বিদারক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবাজার এলাকায়। বাংলাদেশের কাপড়ের পাইকারি বাজারের প্রধান কেন্দ্রস্থল হচ্ছে বঙ্গবাজার। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, সুন্দর বন থেকে সুনামগঞ্জ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে লক্ষ লক্ষ কাপড়ের দোকান রয়েছে সে সমস্থ দোকানে বঙ্গবাজারের কাপড়ই বিক্রি হয় খুছরা ও পাইকারি মুল্যে।
এমনিতেই বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা ব্যাংক সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তাছাড়া ঈদ বা পূজা উপলক্ষে দুই পয়সা কামাই করার বুকভরা আশা নিয়ে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের নিকট থেকে হাওলাত গ্রহণ করে পর্য্যাপ্ত মাল সংগ্রহ করেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে।কিন্তু সংঘটিত অগ্নিকান্ডে তছনছ করে দিয়েছে সে সমস্ত ব্যবসায়ীদের সপ্নকে।কোটি কোটি টাকার মালিক রাস্তার ভিখারি হয়ে গেছেন নিমিষেই। ব্যবসায়ীদের করুন আর্তনাদে আকাশ বাতাস মুখরিত হচ্ছে। রাব্বে কারিম খতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে ধৈর্য্য ধারনের তৌফিক দান করুন।
বঙ্গবাজারের খতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের এই চরম সংকটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ মওকুফ করে অতিদ্রত সহজ শর্তে নতুন করে ঋণ প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। মানবিক দিক বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মান্যবর বিচারপতির নেতৃত্বে বা সেনাবাহিনির সরাসরি তত্বাবধানে একটি সহায়তা তহবিল গঠন করার অনুরোধ করছি। সেই সহায়তা তহবিলে দেশের এক কোটি মানুষ গড়ে একশত টাকা করে সহযোগিতা করলে একশত কোটি টাকা হবে, যা দিয়ে খতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে পুর্ণবাসন করা সম্ভব।
এছাড়া শত বছরের ইতিহাসে তিলে তিলে গড়ে উটা বঙ্গবাজারের ব্যবসার সাথে লক্ষাধিক মানুষের রুটি রুজির প্রশ্ন সম্পৃক্ত। হাজার হাজার পরিবারের নানাবিধ সপ্নের আবাসস্থল সেই বঙ্গবাজারে সংঘটিত অগ্নিকান্ডের কারণে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।ঐদিন ভোর পর্যন্ত যারা কোটি কোটি টাকার মালিক ছিলেন সন্ধ্যা নামার আগেই তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এ জন্যই হয়তো কবি বলেছিলেন সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা। এইতো নদীর খেলারে ভাই, এইতো নদীর খেলা।
লেখক পরিচিত
বার্তা প্রধান, কেবিসি নিউজ ও
সাধারণ সম্পাদক, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।