কুলাউড়ায় সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। রোববার বিকেল ৫টার দিকে পৌর শহরস্থ মার্কেট মিলি প্লাজার ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই তাঁর লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১ জুন সকালে শহরের মিলি প্লাজার ২য় তলায় অবস্থিত দুটি মোবাইলের দোকান জুনেদ টেলিকম ও আপন টেলিকম নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে প্রায় কয়েক লাখ টাকার স্মার্টফোনসহ মূল্যবান পণ্য চুরি করে নিয়ে যায় ৫/৬ জনের সংঘবদ্ধ চক্র। এরপর গত ৭ জুন রাত ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সম্মুখে একটি দোকানে চুরির সময় একজন চোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ বাজারের একটি দোকান থেকে ১২ লাখ টাকার সিগারেট চুরি ও ওই মাসের ১৫ তারিখ দক্ষিণবাজারের একটি দোকান থেকে ১২ লাখ টাকার স্মার্টফোন চুরির ঘটনা ঘটে। চলতি মাসে চুরির ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে পৃথকভাবে বৈঠক করি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি নেতৃবৃন্দরা। বৈঠকে সাম্প্রতিক চুরির সাথে জড়িতদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারের দাবি জানানো হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আতিকুর রহমান আখই আরো জানান, গত ১জুন দিনে-দুপরে মিলি প্লাজা মার্কেটের ভিতরে সংঘবদ্ধ চক্র তালা ভেঙে ২০ লাখ টাকার মোবাইল চুরির ঘটনায় সত্যি আমরা শঙ্কিত ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এরপর আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে চুরির সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ যাবতীয় তথ্য প্রদান করি। কিন্তু ওই ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও সংঘবদ্ধ চক্রের কোন সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার না হয় তাহলে আগামী ১৩ জুন মিলিপ্লাজার সকল দোকানপাঠ বন্ধ করে মার্কেটের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করা হবে এবং বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচীর হুঁশিয়ারি দেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মিলিপ্লাজা মার্কেটের ব্যবস্থাপক নাসির হায়দার জানান, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে কিন্তু তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই মার্কেটে কোন নিরাপত্তা প্রহরী নেই। এছাড়া সিসি টিভি ক্যামেরা থাকলেও সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য আলাদা কোন লোক নিয়োগ করা হয়নি। আমরা ভবিষ্যতে এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবো