মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বসতবাড়ির সেফটিক ট্যাংকে পড়ে এক পরিবারের দুই ভাই ও বোনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২ জুলাই) সকাল আনুমানিক নয়টায় উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ওই দুই শিশু হলো টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি জাহাঙ্গীর মিয়া ও গৃহিণী সুমি বেগমের ছেলে হাসান মিয়া (৪) ও হাবিবা বেগম (২)। এক পরিবারের দুই ভাই-বোনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দিনমজুর জাহাঙ্গীরের বসতঘরের পেছনে একটি সেফটিক ট্যাংক রয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সেফটিক ট্যাংকের চারপাশ পানিতে ভরে যায় এবং মাটি দেবে যায়। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে হাসান ও হাবিবা খেলার জন্য ঘর থেকে বের হয়। এসময় তারা দুইজন সেফটিক ট্যাংকের ওপরে দেওয়া ঢাকনায় উঠে খেলা করছিল। একপর্যায়ে ঢাকনা ধসে প্রথমে পা পিছলে ট্যাংকে পড়ে যায় হাবিবা বেগম। তখন ছোটবোনকে উদ্ধার করতে ভাই হাসান মিয়াও ওই সেফটিক ট্যাংকিতে পড়ে যায়। প্রায় দেড়ঘন্টা খোঁজাখুজির পর তাদের মা সুমি বেগম দেখতে পান হাসান ও হাবিবা সেফটিক ট্যাংকে পড়ে আছেন। এসময় সুমি বেগম চিৎকার শুরু করলে পরিবারের স্বজনসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জনাব আলী জানান, এক পরিবারের ভাই-বোনের মৃত্যুর ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। দুই সন্তানকে হারিয়ে জাহাঙ্গীর ও তাঁর স্ত্রী এখন বিলাপ করছেন। প্রতিবেশীরা তাঁদের সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছোট দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ওই দুই শিশুর লাশ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে।