মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর রাজু’র প্রচেষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বরাদ্দ দিয়েছেন। এরমধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন ও ১৪টি প্রতিষ্ঠানে মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হবে। ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মো. আবু জাফর রাজু বরাদ্দ দেয়ার এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
১২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে উত্তর কুলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, মহতেছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ সম্প্রসারণে ২ কোটি টাকা, টিলাগাঁও আজিজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ নির্মাণে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ নির্মাণে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মেরামত ও সংস্কার কাজে ২০ লক্ষ টাকা, ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজে ২০ লক্ষ টাকা, সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ লক্ষ টাকা, হিংগাজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ লক্ষ টাকা, মহেতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ২০ লক্ষ টাকা, মনু মডেল কলেজে ২০ লক্ষ টাকা, রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ লক্ষ টাকা, শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ লক্ষ টাকা, রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ২০ লক্ষ টাকা, দারুছুন্নাহ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, হিংগাজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, শ্রীপুর জালালিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ২০ লক্ষ টাকা, গৌড়করণ নুরুল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০ লক্ষ টাকা, গিয়াসনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০ লক্ষ টাকা, বাংলাটিলা দাখিল মাদ্রাসা ২০ লক্ষ টাকা ও গণকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোঃ আবু জাফর রাজু বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রটোকল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ায় তিনি কুলাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি তার দায়িত্বকালীন সময়ে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে কুলাউড়ার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে কুলাউড়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা বাস্তবায়ন করে আগামীতে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ, হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে বর্তমানে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। পরবর্তীতে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করা হবে। এছাড়া কুলাউড়ায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, পলিটেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, মৎস্য ও গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন, সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন, ডায়বেটিস হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ, আই ভিশন সেন্টার স্থাপন, উপজেলা যুুব প্রশিক্ষণ ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। মানুষের পানির সমস্যা নিরসনের জন্য তাঁর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় এক হাজারটি টিউবওয়েল বরাদ্দ হয়েছে। তিনি শিক্ষাখাতের উন্নয়ন নিয়ে বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন, এছাড়া ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ টাকা করে ১৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে মেরামতের জন্য। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন, ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ টাকা করে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং ৭টি বিদ্যালয়ে ৭ লক্ষ করে ৪৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫টি বিদ্যালয়ে ১৫ লাখ করে ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে ২৪টি বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করে দেয়া হয়েছে। যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন তিনি বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে কুলাউড়ায় ১৯৩টি রাস্তা পাকাকরনে অনুমোদন হয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৫৭টি রাস্তা অনুমোদন হয়েছে। তন্মধ্যে ২৩টি রাস্তা পাকাকরণ কাজের টেন্ডার হয়েছে।