মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণাসহ ৪৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তুলে দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়া উপকারভোগীদের হাতে নতুন ঘর হস্তান্তর করেন এবং উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
পরে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নতুন নির্মিত ৪র্থ পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৪৮টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, ওসি মো. আব্দুছ ছালেক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী, সিনিয়র সাংবাদিক খালেদ পারভেজ বখশসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে (২য় ধাপে) উপজেলার কর্মধার টাট্টিউলিতে ১৩টি, কাদিপুরের ফরিদপুরে ২৫টি, হাজীপুরের পীরেরবাজারে ৫টি ও শরীফপুরের কালারায়েরচর (নিশ্চিন্তপুর) ৫টিসহ মোট ৪৮টি পরিবারের মধ্যে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে ১ম পর্যায়ে ১১০টি, ২য় পর্যায়ে ১০০টি, ৩য় পর্যায়ে ১১৩টি ও ৪র্থ পর্যায়ে ৯৬টি ঘর বরাদ্দ করা হয়। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিকান্ড, বন্যাসহ অন্য কোন কারণে যদি কেউ গৃহহীন হয় তাহলে পরবর্তীতে তাদেরকেও সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলমান থাকবে।