বিদেশে যেতে হলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রথমে জেলে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, “আগে জেল বরণ করে সেখান থেকে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আবেদন করতে হবে খালেদা জিয়াকে। তিনি যেকোনো আবেদন করতেই পারেন, তবে সেটা অবশ্যই আইন মেনে করতে হবে।”
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে আইন কমিশনের রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদও শেষ হচ্ছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দেওয়া মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার সাজা শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চ মাসে তৃতীয় দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার কারাভোগের মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। চলতি সেপ্টেম্বরে সেই মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। মেয়াদ শেষের আগেই খালেদার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন। সেই আবেদনের বিষয়ে খালেদার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দিলো আইন মন্ত্রণালয়।