মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কুলাউড়ায় কাদিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সম্মেলন সম্পন্ন, সভাপতি করিম -সম্পাদক সুলেমান বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে চায় আজারবাইজান জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ২৫ হাজার কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি কুলাউড়ায় যুবলীগের সহ সভাপতি রূহুল আমিন আটক ফেনী ও নোয়াখালীর বন্যার ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরা হলো জলবায়ু সম্মেলনে কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা- ১৪ টি যানবাহন জব্দ  বড়লেখায় উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুলাউড়ার অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি গ্রামপুলিশদেরও ভূমিকা রাখতে হবে – অতি: পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন কার্ডিফ এর উদ্যোগে কুলাউড়ায় বন্যার্থদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল সময় কুলাউড়ায় “কুলাউড়ায় লক্ষাধিক টাকা নিয়েও সরকারি গভীর নলকূপ দিলেন না ইউপি সদস্য শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলার ২ নং ভূকশিমইল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফজলুর রহমান। তিনি গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়া ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানান মেম্বার কল্যাণ সমিতি কুলাউড়ার নেতৃবৃন্দরা।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। নববর্ষ ড্রিকিং ওয়াটার নামে তাঁর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ডিপ টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। এছাড়া তিনি হলি চাইল্ড কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক। তিনি ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করছেন। তিনি ভূকশিমইল ইউনিয়নের মনসুরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও উত্তর সাদিপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূকশিমইল ইউনিয়নের উত্তর সাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ মিয়ার স্ত্রী শামসুন নাহার আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আমি উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করি।

ফজলুর রহমান বলেন, আমি একজন মেম্বার। মেম্বারের কোন এখতিয়ার নেই সরকারি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেয়ার। সরকারিভাবে ইউনিয়ন পরিষদে যে নলকূপ বরাদ্দ হয় তা পরিষদের চেয়ারম্যান সকল ইউপি সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে যাদের জন্য বেশি প্রয়োজনীয় তাদের মধ্যে বন্টন করে দেন। কিন্তু শামছুন নাহার বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে ভূল তথ্য দিয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন তা সত্য নয়, সংবাদটি পুরোপুরি মিথ্যা। আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামছুন নাহার দীর্ঘদিন যাবৎ একটি গভীর নলকূপ বসিয়ে দেয়ার জন্য আমার কাছে অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে আমার এলাকার বাসিন্দা মোঃ শাহিন মিয়া ও আব্দুস সহিদের সামনে ৮০ হাজার টাকা দাম সাব্যস্থ করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নববর্ষ ড্রিকিং ওয়াটার থেকে গভীর নলকূপ প্রদানের বিষয়ে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। পরে আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেন শামছুন নাহার। ট্যাংকি ও মটর ফিটিং এর পূর্বে আমার অবশিষ্ট পাওনা ৫০ হাজার টাকা দিবেন বলে শামছুন নাহার আশ^স্ত করেন। মটর ও ট্যাংকি বসানোর সময় শামছুন নাহার বলেন এখন তার কাছে ২০ হাজার টাকা আছে ওই টাকা দিয়ে মটর ও ট্যাংকি ফিটিং করে নিতেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে আমার পাওনা বাকী ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানান। শামছুন নাহারের কথামত এক সপ্তাহ অতিক্রম হওয়ার পর আমার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তাগিদ দিলে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করতে থাকেন। বিভিন্ন মহলে আমার বিরুদ্ধে আবেদন করে আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করছেন। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগকারী শামছুন নাহার অত্যন্ত চতুর, দুর্ধান্ত খারাপ প্রকৃতির মহিলা। আমার ওয়ার্ডের মনসুরগঞ্জ বাজারের সরকারি খাস জমিতে খুঁটি বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিটি জবরদখল করে রেখেছেন শামছুন নাহার। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে যা এলাকার সবাই জানে। আমি এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে পাওনা ৩০ হাজার টাকা আদায় করতে পারিনি। সে আমার টাকা আত্মসাৎ করার জন্য নানা টালবাহানা শুরু করেছে। শামসুন নাহার আমার বিরুদ্ধে যে মনগড়া অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি আরো বলেন, মনসুরগঞ্জ বাজারে সরকারিভাবে একটি ওয়াশ ব্লক তৈরি করার জন্য ওই সরকারি খাস জমিটি উদ্ধার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শামছুন নাহার এই ওয়াশ ব্লক করতে বাঁধা প্রদান করেন। খাস জমিটি তিনি লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক দখল করে দোকান ব্যবসা করছেন। পরে কোন উপায় না দেখে বাজারের অন্যপাশে আমি সরকারি ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করি। এই ওয়াশ ব্লক তৈরি করতে গিয়ে শামছুন নাহারের সাথে মতবিরোধ ছাড়া আমার ব্যক্তিগত কোন বিরোধ নেই। তারপরও আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ যারা গত দুই ইউপি নির্বাচনে আমার সাথে পরাজয় করেছে তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নেপথ্যে থেকে শামছুন নাহারকে ইন্দন দিয়ে আমার সামাজিক মানমর্যাদা নষ্ট করে হেয়প্রতিপন্ন ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।

ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান বলেন, আমার ওয়ার্ডের সম্মানিত ভোটারদের রায়ে আমি দুইবার মেম্বার হয়েছি। এরপর থেকে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আমি ওয়ার্ডের মানুষের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছি জনগণের সহযোগিতায়। বিশেষ করে আমার ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ইটসলিংয়ের কাজের পাশাপাশি কালভার্ট, ওয়াশব্লক কাজ করেছি। তাছাড়া ওয়ার্ডের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও রাতে নিরাপদে চলাচলের সুবিধার কথা চিন্তা করে ওয়ার্ডের প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতায় বৈদ্যুতিক লাইট ল্যাম্পপোস্টের ব্যবস্থা করেছি। এলাকার মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি। যা ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ জানে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ | কেবিসি নিউজ ফ্রান্স
Theme Developed BY NewsFresh