যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার ছয় জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং বহুপাক্ষিক সংগঠনের তিনজন নেতার উদ্দেশ্যে বলেন জলবায়ুর বিষয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ শুধু জরুরী নয় – এটি বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও ভাল।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের ছয় সপ্তাহ আগে নেতারা এই বৈঠক করেন, এটি এমন একটি সম্মেলন যার লক্ষ্য হচ্ছে ভবিষ্যতের বৈশ্বিক জলবায়ু প্রচেষ্টার দিক নির্দেশনাও তৈরি করা।
বাইডেন সেই বৈঠকে যোগদানকারী আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো এবং যুক্তরাজ্যের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন “আমি দেখাতে চেয়েছিলাম যে আমরা একটি সন্ধিক্ষণে আছি, কারণ আমাদের মধ্যে কিন্তু আসলে একটি সত্যিকারের ঐকমত্য আছে। যখন জলবায়ু সংকট অস্তিত্বের হুমকি সৃষ্টি করছে, তার মধ্যেও কিন্তু একটি আশার আলো আছে।
বাইডেনের অফিসে প্রথম কাজগুলোর মধ্যে একটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তিতে ফিরিয়ে আনা, তার পূর্বসূরী ডনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে দেশের জন্য একটি খারাপ চুক্তি বলে আখ্যায়িত করার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন ।
আইনত বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তির লক্ষ্য হল বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প স্তরের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রির মধ্যেই সীমিত রাখা। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো উন্নত দেশ, যারা বিশ্বের দুটি বৃহত্তম নিঃসরণকারী দেশ, তাদের জন্য বৈশ্বিক গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য হ্রাস প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রে, এর জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০৫ সালের নিঃসরণের মাত্রার ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ কমানোর প্রয়োজন হবে, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যার জন্য সনাতন জ্বালানি শক্তির উৎস কয়লা থেকে সরে এসে সৌর এবং বায়ু শক্তির মতো সবুজ উৎসের উপর নির্ভর করার মত একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাইডেনের এই জরুরি আহ্বানের সাথে একমত হয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “পৃথিবী ২.২ ডিগ্রি উত্তাপের বিপর্যয়কর পথে রয়েছে”। “এটি ছয় বছর আগে দেওয়া প্যারিস চুক্তির ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার ফলাফল হবে জীবন ও জীবিকার ব্যাপক ক্ষতিসাধন।”
জাতিসংঘ প্রধান সরাসরি উন্নত বিশ্বের উপর দায় চাপিয়েছেন, উল্লেখ করেছেন যে বিশ্বব্যাপী ৮০ শতাংশ নির্গমন বিশ্বের ২০টি ধনী দেশের দ্বারা ঘটে। তিনি সব দেশকে আরো উচ্চাভিলাষী নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য এবং উন্নত দেশগুলোকে, উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এক হাজার কোটি টাকা পরিমাণ সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতি দেবার