মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় এক সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় উপজেলায় ফুলতলা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সোয়াইবুর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ হামলা চালান মাহফুজুর রশিদ (২০) নামে এক যুবক। মাহফুজ উপজেলার পশ্চিম বটুলী গ্রামের মামুনুর রশীদ ওরফে শাহীন মাস্টারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জুড়ী প্রতিনিধি ও বাংলা টাইমসের স্টাফ রিপোর্টার সোয়াইবুর রহমানের উপর পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলা চালায় মাহফুজুর রশিদ (২০)। গত ৫/৬ মাস আগে একটি নিউজের জের ধরে মাহফুজ ওঁৎ পেতে থেকে এই হামলা চালায়। হামলার সময় স্থানীয়রা সোয়াইবুরকে হামলাকারীর হাত থেকে রক্ষা করেন ও হামলাকারী মাহফুজকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে জুড়ী থানার এএসআই শফিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারী মাহফুজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুনেদুল ইসলাম, দৈনিক বাংলার জুড়ি প্রতিনিধি দেলাওয়ার হোসেন, দৈনিক জনবাণীর হোসাইন রুমেল, দৈনিক আলোকিত সকালের কামরান আহমদ প্রমুখ।
আহত সাংবাদিক সোয়াইবুর রহমান জানান, ‘রাতের আধারে কেনো বা কিসের জন্য আমার উপর এ হামলা চালানো হলে নিজেই বুঝতে পারলাম না। স্থানীয় কয়েকজন গনমাধ্যম কর্মী থাকায় আমি বেঁচে গিয়েছি। না হলে বড় ধরনের ঘটনা হত। আমি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসছি। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সংবাদিক সোয়াইবুর রহমান উপর হামলায় রাতে ঘটনাস্থল থেকে আমরা হামলাকারী মাহফুজুর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে। আসামীকে কোটের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’