মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর, হাজীপুর, ইউনিয়নসহ বেশকিছু এলাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর, তেলিবিল, চানপুর, পূর্বভাগ, হরিপুর, খিদিরপুর, ইটারঘাট, চারিয়ারঘাট গ্রামের শত শত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক বসতঘর মাটির সাথে মিশে যায়। স্কুল, মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় আমতলা বাজার, বটতলা বাজার ও অন্যান্য বাজারের অসংখ্য দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাতলাপুর চা বাগানের সহস্রাধিক গাছ ভেঙ্গে পড়ে। শত শত একর বুরো ধান নষ্ট হয়। অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ও তার ছিড়েঁ যাওয়ায় এখনও এই এলাকাগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
২৭ এপ্রিল (শনিবার) তাৎক্ষনিক এসব দূর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান মৌলভীবাজার -২ কুলাউড়া আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এসকল গ্রাম ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ঢেউটিন ও নগদ অর্থ দিয়ে দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এর আগে, ২৬ এপ্রিল শুক্রবারের মধ্যরাতের ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে কাজ শুরু করেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে এসব এলাকায় বিদ্যুতের লাইন ও খুঁটি ভেঙে পড়ে। এ কারণে উপজেলা, হাসপাতাল, কাদিপুর, ব্রাহ্মণবাজার, সিরাজনগর, নার্সারি ও ঘাগটিয়াসহ বিদ্যুতের ৭টি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত সচল করতে ৫টি টিম কাজ করছে। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা সম্ভব হবে।