মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোঃ রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মানহানির অভিযোগে ১৩ মে সোমবার কুলাউড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্টের নিউইয়র্ক সিটি থেকে অনলাইনে বক্তব্য দেন অপপ্রচারের শিকার ভুক্তভোগী মো: রিপন মিয়া।
মো. রিপন মিয়া জানান. গত ০৫ মে কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের নজাতপুর (কৌলা) বাসিন্দা মৃত মোঃ আলী মধু মিয়ার স্ত্রী খতিবুন নেছা ও নর্তন গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
মোঃ রিপন মিয়া আরও জানান, তিনি মুলত শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। দেশে থাকাকালীন সময়ে তিনি একজন ব্যবসায়ী ও ১ম শ্রেণীর ঠিকাদার ছিলেন। মেসার্স রবিন এন্টারপ্রাইজ নামে তার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ১৯ বছরের সংসার জীবনে ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। আমার স্ত্রীর সাথে আমার কোন ডিভোর্স হয় নাই। সাংসারিক জীবনে মনমালিন্য থাকার কারণে ২ ছেলে আমার নিকট এবং ১ মেয়ে আমেরিকার আইনে ১৫ দিন পর পর ২ দিন বাবার কাছে এবং বাকি সময় মায়ের কাছে থাকিবে বলে রায় বহাল রয়েছে। এই সন্তানদের নিয়ে ৪ বছর যাবৎ লালন পালন করে নিজ হেফাজতে রেখেছি।
গত ৫ মে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বরমচাল ইউনিয়নের মহলাল গ্রামের বাসিন্দা এনাম উদ্দিন ও তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার মুন্নী, নর্তন গ্রামের খায়রুল ইসলাম রানা ও আহমদ মিয়া প্ররোচনা দিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে খারাপ ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় খতিবুন নেছা ও রুবেল মিয়া বক্তব্য দেন। যাহা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে খতিবুন নেছা তার ছেলে মুহিদুর রহমান শাওনের বিরুদ্ধে ৪টি মিথ্যা মামলার বিষয়ে আমাকে নেপথ্যে থাকার অভিযোগ আনা হয় এবং আমাকে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে অভিহিত করা হয়। এছাড়া আমার স্ত্রীর ওপর আমি নাকি অমানসিক নির্যাতন করেছি বলে অভিযোগ তোলা হয়। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এছাড়া খতিবুন নেছা ও তার সহযোগিরা সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করেন যে, আমার স্ত্রী রুমাকে অমানসিক নির্যাতন করিলে আমার স্ত্রী নাকি আমাকে তালাক প্রদান করে অন্যত্র চলে গেছেন এবং আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এসব মিথ্যা অপপ্রচার করে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যার কারণে আমার সম্মানহানি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার আইন ও শরীয়াহ মোতাবেক আমার স্ত্রীর সাথে এখনো কোন ডিভোর্স হয়নি। আমার সামাজিক মান সম্মান নষ্ট করার জন্য খতিবুন গং ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য এমন হীন কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, খতিবুন নেছার ছেলে মুহিদুর রহমান শাওন জনৈক সুমাইয়া নামক এক মহিলাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু সুমাইয়া তার পূর্বের স্বামীর সাথে কোন ডিভোর্স অথবা তালাক সম্পন্ন না হওয়া স্বত্বেও ২ সন্তানের জননী সুমাইয়াকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে শাওন। খতিবুন নেছা আমার স্ত্রী রুমার নকল মা সেজে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রারের নিকট আমার সাথে আমার স্ত্রী রুমার তালাক করতে গেলে ব্যর্থ হন। খতিবুন নেছা গং বিভিন্ন সময় নানা টালবাহানা করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আমাকে হয়রানি করে আসছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. রিপন মিয়া বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে যারা আমার ছবি ব্যবহার করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে আমার মান সম্মান নষ্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে গত ৮ মে আমি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
মুহিদুর রহমান শাওনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি। তার সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। সুতরাং তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্ররোচনার কোন প্রশ্নই উঠে না। ব্যক্তিগতভাবে আমি কেমন মানুষ যুক্তরাষ্ট্র কমিউনিটিতে খোঁজ নিলে আপনারা জানতে পারবেন।