মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার চলতি বন্যায় বিগত ২১ দিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৫০ কোটি টাকা। বন্যা আরও দীর্ঘায়িত হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ ০৭ জুলাই (রোববার) সংবাদ করে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে সমাজের বিত্তবান, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে বানভাসি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, গত ১৪ জুন থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়, ১৭ জুন ঈদের দিন থেকে কুলাউড়া উপজেলাসহ পৌরসভা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। পৌরসভায় প্রথমে ২টি এবং পরে আরও ২টিসহ মোট ৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এতে ১১৯টি পরিবারের ৪শতাধিক মানুষ আশ্রিত। বন্যায় পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড সম্পুর্ণ এবং ২,৩,৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড আংশিক এবং অতিবৃষ্টির কারণে ৯টি ওয়ার্ডে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা, ১২ কিলোমিটার ড্রেন, এক হাজার ঘর- বাড়ি, ১৮টি কালভার্ট, ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২টি কাঁচা বাজার, অনেক মসজিদ, বিভিন্ন গবাদি পশুর খামার, বিভিন্ন পুকুর, অফিস আদালতের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
মেয়র আরও জানান, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যাকবলিত দূর্ভোগগ্রস্থ মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা পূনারায় প্রদান করাসহ তা বৃদ্ধি, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট, বাড়ী-ঘর, কালভার্ট ও অন্যান্য অবকাঠামো দ্রুত মেরামত ও পূননির্মাণ এবং দীর্ঘস্থায়ী জলবদ্ধতা দূরীকরণে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানান। তাছাড়া কুলাউড়ায় পৌরসভায় বন্যাকবলিত মানুষের জন্য বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেও মানুষ স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানিয় জলের তীব্র সঙ্কট। পৌরসভায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র উপযোগী অথবা একটি আলাদা বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন।
, গত ২১ দিনে সরকারি ত্রাণ বলতে ১৪ মেট্রিক টন চাল ও ১২০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এজন্য তিনি সমাজের বিত্তবান, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে বানভাসি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী, সচিব ও কাউন্সিলারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।