মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । আলাদা আলাদা দুই মামলায় আাসামি করা হয়েছে ১০৩ জনকে। অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ৬০-৭০ জন কে। আসামীরা সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। গতকাল ২৪ আগষ্ট পারভেজ মিয়া বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন । মামলা নং-১২। মামলার এজাহার তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুলাই সকাল ১১টার পর পৌর শহরের মিলিপ্লাজার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে স্লোগান দিলে ঐ সময় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীসহ তাঁর ওপর হামলা করে। এই হামলায় তিনি সহ অনেকেই গুরুতর আহত হন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেণু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, পৌর মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ, অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, শফিউল আলম শফি, বদরুল ইসলাম বদর, ফজলুল হক ফজলু, ব্রাহ্মণবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মমদুদ হোসেন, কাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আহমদ গিলমান, ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ, হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্স, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ইকবাল আহমদ শামীম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুস শহীদ, সহ-সভাপতি শাহীন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সবুজ, কাদিপুর ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মিঠু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম তায়েফ, সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেল প্রমুখ।
অপর দিকে কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবুল ফাত্তাহ ফাহিম শনিবার বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন । মামলা নং-১১।
দুটি মামলায় আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের ১০৩ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে অনেক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মামলার আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। মামলার অধিকাংশ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ।