বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ফ্রান্সে জুড়ী উপজেলা কমিউনিটি ট্রাস্ট গঠন সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ও শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় হিউম্যানিটি রক্তদান সংস্থার শুভ সূচনা কুলাউড়ায় তালামীযে ইসলামিয়ার মীলাদুন্নবী (সা.) র‍্যালী অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় ভাগ-বাটোয়ারা না করে পারিবারিক প্রায় ৬০ কোটি টাকার যৌথ সম্পদ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন মখলিছ মিয়া কুলাউড়ায় অনুষ্ঠিত হলো ‘ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সিরাত সম্মেলন মৌলভীবাজার জেলা শিবিরের ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সমাবেশ সম্পন্ন কুলাউড়ায় ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি’র উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ কুলাউড়ায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার অভিযোগ

জুমার দিনের আমল ও ফজিলত

মাওলানা মুনীরুল ইসলাম
  • আপডেট : শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১

জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। সাপ্তাহিক ঈদের দিন। উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এটি একটি মহান দিন। দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল ও ফজিলত রয়েছে।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা : ৯-১০)

জুমার দিন জুমার নামাজের জন্য যে যত তাড়াতাড়ি মসজিদে আসবে সে তত বেশি সওয়াব পাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন জুমার দিন আসে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকে। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি : ৮৮২)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, যখন জুমার দিন কোনো ব্যক্তি গোসল করে এবং সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর তেল মাখে বা ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে বের হয়, আর দুজনের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি না করে, এরপর সে তার জন্য ধার্যকৃত নামাজ আদায় করে এবং ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তার এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত (সগিরা গোনাহ) মাফ করে দেওয়া হয়। (বুখারি : ৮৮৩)

জুমার দিন অন্য দিনের তুলনায় বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়ার কথা এসেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমার দিন। এই দিন আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিন তাঁর ইন্তেকাল হয়েছে। আর এই দিনই (সিঙ্গায়) ফুৎকার হবে এবং এই দিনই সবাই অজ্ঞান হবে। কাজেই তোমরা এই দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। (আবু দাউদ : ১০৮৯)

জুমার দিন এমন একটি সময় আছে বান্দা ওই সময় যা-ই দোয়া করে আল্লাহ তা কবুল করে নেন। হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, জুমার দিন বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর কাছে যা-ই দোয়া করে আল্লাহ তাই কবুল করে নেন। তোমরা ওই মুহূর্তটিকে আসরের শেষে অনুসন্ধান করো। (বুখারি : ৯৩৫)

জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করায় অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত বিশেষ নুর (আলো) দ্বারা আলোকিত করে দেবেন। (বায়হাকি : ৬২০৯)

জুমার দিনের বিশেষ আমলগুলো একনজরে বলতে চাইলে বেরিয়ে আসবে- ১. জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করা। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে সেদিন নখ ও চুলকাটা একটি ভালো কাজ। ২. জুমার নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। ৩. মিসওয়াক করা। ৪. গায়ে তেল ব্যবহার করা। ৫. উত্তম পোশাক পরে জুমা আদায় করা। ৬. মুসল্লিরা ইমামের দিকে মুখ করে বসা। ৭. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। ৮. জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। ৯. বেশি বেশি দোয়া করা। ১০. মুসল্লিদের ফাঁক করে সামনের কাতারে না যাওয়া। ১১. সুযোগ থাকলে দু’রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ নফল আদায় করা। ১২. জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জুমার দিনের এই বিশেষ আমলগুলো পালনের মাধ্যমে এর পরিপূর্ণ ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ | কেবিসি নিউজ ফ্রান্স
Theme Developed BY NewsFresh